নিউইয়র্কে মেয়র নির্বাচন আজ, মামদানিকে ঠেকাতে কুমোর পক্ষে ট্রাম্প
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ১০:১০, ৪ নভেম্বর ২০২৫ | আপডেট: ১৩:৫৮, ৪ নভেম্বর ২০২৫
						বাঁ থেকে ডোনাল্ড ট্রাম্প, জোহরান মামদানি ও অ্যান্ড্রু কুওমো। ছবি সংগৃহীত
নিউইয়র্ক সিটিতে আজ হচ্ছে বহুল আলোচিত মেয়র নির্বাচন। নির্বাচনের আগের দিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রকাশ্যে সাবেক গভর্নর অ্যান্ড্রু কুমোকে সমর্থন দিয়ে আলোচনায় আসেন। তিনি বলেন, যদি ডেমোক্র্যাটিক প্রার্থী জোহরান মামদানি নির্বাচিত হন, তাহলে নিউইয়র্ক সিটির ফেডারেল তহবিল কমিয়ে দেওয়া হতে পারে।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, ট্রাম্প সোমবার তার ট্রুথ সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে লিখেছেন, ‘তুমি অ্যান্ড্রু কুমোকে ব্যক্তিগতভাবে পছন্দ করো কি না সেটা গুরুত্বপূর্ণ নয়। কিন্তু তাকেই ভোট দিতে হবে। মামদানি সক্ষম নন।’
তিনি আরও বলেন, ‘মামদানি যদি নির্বাচনে জয়ী হন, তবে ফেডারেল সহায়তা কেবল বাধ্যতামূলক ন্যূনতম পর্যায়েই দেওয়া হবে।’
বর্তমান প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প নিজেই রিপাবলিকান হলেও এই নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী কার্টিস স্লিওয়ার পরিবর্তে কুমোকে সমর্থন দেন। এতে তিনি কার্যত ডেমোক্র্যাটিক প্রতিদ্বন্দ্বীর পাশে দাঁড়িয়েছেন। ট্রাম্পের এই অবস্থান যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন বিতর্ক তৈরি করেছে।
উগান্ডায় জন্মগ্রহণ করা মামদানি নিউইয়র্ক স্টেট অ্যাসেম্বলির সদস্য এবং যুক্তরাষ্ট্রের ডেমোক্র্যাটিক সোশ্যালিস্ট সংগঠনের সদস্য। ৩৪ বছর বয়সী এই তরুণ রাজনীতিক প্রগতিশীল ভোটারদের মধ্যে বিপুল সাড়া ফেলেছেন। জনমত জরিপে তিনি কুমোর চেয়ে এগিয়ে আছেন। মামদানি করপোরেট ট্যাক্স বাড়ানো, ভাড়া স্থিতিশীল রাখা এবং সরকারি আবাসন প্রকল্পে বিনিয়োগ বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তার অবস্থান নিউইয়র্কের ধনী শ্রেণি ও আর্থিক মহলে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।
অন্যদিকে, অ্যান্ড্রু কুমো ডেমোক্র্যাটিক পার্টির দীর্ঘদিনের মুখ হলেও এবার স্বাধীন প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ২০২১ সালে যৌন হয়রানির অভিযোগে গভর্নরের পদ ছাড়তে বাধ্য হয়েছিলেন তিনি। সেই অতীত এখনো তার রাজনৈতিক ভাবমূর্তিতে ছাপ ফেলেছে।
এই নির্বাচনকে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে। বিশ্লেষকেরা বলছেন, এটি ডেমোক্র্যাটিক পার্টির ভাবমূর্তি ও ভবিষ্যৎ দিক নির্ধারণে প্রভাব ফেলতে পারে। প্রগতিশীল ও তরুণ ভোটারদের উত্থান যেমন এক নতুন রাজনীতির ইঙ্গিত দেয়, তেমনি ট্রাম্পের প্রকাশ্য হস্তক্ষেপ আবারও মার্কিন রাজনীতিকে উত্তপ্ত করেছে।
