‘সালমান শাহ আত্মহত্যাপ্রবণ ছিলেন’
বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশ: ১৯:২৯, ৩০ অক্টোবর ২০২৫ | আপডেট: ২১:৩৮, ৩০ অক্টোবর ২০২৫
বাংলা চলচ্চিত্রে অন্যতম জনপ্রিয় ও ক্ষণজন্মা তারকা সালমান শাহ। তার মৃত্যুর প্রায় তিন দশক পেরিয়ে গেলেও রহস্য ও বিতর্কের জাল এখনও কাটেনি। কেউ বলেন, ‘আত্মহত্যা’, কেউ বলেন ‘হত্যা’।
তবে সালমানের সাবেক স্ত্রী সামিরা হক দুই বছর আগে এক টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, সালমান শাহ মানসিকভাবে আত্মহত্যাপ্রবণ ছিলেন।
২০২৩ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর, সালমানের জন্মদিন উপলক্ষে এক টিভি সাক্ষাৎকারে সামিরা আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বলেন, ‘ইমন আত্মহত্যা করেছেন।’
সামিরা বলেন, “ও (ইমন) মেন্টালি ‘সুইসাইডাল বাই নেচার’। এর আগেও তিনবার আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে। মেট্রোপলিটন হাসপাতালের রেকর্ড চেক করলে দু’বারের তথ্য পাওয়া যাবে, আরেকবারের রেকর্ড আছে অন্য এক হাসপাতালে। তিনটি ঘটনাই আমাদের বিয়ের আগের। একবার মায়ের সঙ্গে ঝগড়া করে, একবার আমাকে বিয়েতে রাজি করাতে গিয়ে, আরেকবার অন্য এক ঘটনায় চেষ্টা করেছিল।”
তিনি আরও বলেন, “ইমন আসলে পড়াশোনা করতে চেয়েছিল, কিন্তু সিনেমায় জড়িয়ে পড়ে নিজের ভেতরে দ্বন্দ্বে ভুগত। এরশাদ ও নীলা চৌধুরীকে নিয়ে এক ঘটনায় নীলা জেলে যান, কিন্তু ইমন একদিনও মাকে দেখতে যায়নি। ইমন মাকে ‘মহিলা’ বলে ডাকত—এটা শুনে ডলি জহুর আন্টিও ওকে বকেছিলেন।”
অন্যদিকে সালমানের মা নীলা চৌধুরী বরাবরই দাবি করে আসছেন—“আমার ছেলে আত্মহত্যা করেনি, তাকে হত্যা করা হয়েছে।”
অন্যদিকে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)-এর তৎকালীন প্রধান বনজ কুমার মজুমদার আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়েছিলেন, “খুন নয়, সালমান শাহ আত্মহত্যা করেছেন।”
পিবিআই সে সময় সালমানের আত্মহত্যার পেছনে পাঁচটি কারণও তুলে ধরেছিল।
১৯৯২ সালে মাত্র ২১ বছর বয়সে খালার বান্ধবীর মেয়ে সামিরা হককে বিয়ে করেন সালমান শাহ (পুরো নাম শাহরিয়ার চৌধুরী ইমন)। সামিরা ছিলেন জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক শফিকুল হক হীরার মেয়ে এবং বিউটি পার্লার ব্যবসায় জড়িত ছিলেন।
১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর ঢাকার ইস্কাটনে নিজের বাসায় ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় সালমানের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এরপর থানা–পুলিশ, সিআইডি, র্যাব, পিবিআইসহ একাধিক সংস্থা তদন্ত চালায়। সব প্রতিবেদনেই ঘটনাটিকে আত্মহত্যা বলা হয়, যদিও পরিবারের আপত্তিতে তদন্ত বারবার পরিবর্তন করা হয়েছে।
