ইসরায়েলের ফেরত দেওয়া ৩০ মরদেহে নির্যাতনের চিহ্ন
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ১১:১২, ১ নভেম্বর ২০২৫
ইসরায়েলের ফেরত দেওয়া ৩০ মরদেহে নির্যাতনের চিহ্ন, গাজায় ফের বিমান হামলা গাজায় নতুন করে ফের হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। যুদ্ধবিরতির পরও অবরুদ্ধ উপত্যকাজুড়ে চলমান আক্রমণের মধ্যে আরও ৩০ ফিলিস্তিনির মরদেহ ফেরত দিয়েছে দেশটি। আন্তর্জাতিক রেড ক্রস কমিটির মাধ্যমে হস্তান্তর করা এসব মরদেহের অনেকগুলোর গায়ে নির্যাতন, আগুনে পোড়া ও অঙ্গহানির চিহ্ন পাওয়া গেছে। খবর—আল জাজিরা ও ওয়াফা নিউজ এজেন্সি।
ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, অক্টোবরের শুরুর দিকে বন্দি-বিনিময় চুক্তির অংশ হিসেবে ইসরায়েল মৃত ফিলিস্তিনি বন্দিদের মরদেহ ফেরত দিতে শুরু করে। সর্বশেষ এই হস্তান্তরের পর মোট ২২৫ জন ফিলিস্তিনি বন্দির মরদেহ তাদের স্বজনদের কাছে ফিরেছে।
শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) ইসরায়েলের বিমান হামলায় কমপক্ষে তিন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। পূর্ব গাজার শুজাইয়া এলাকায় ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে একজন নিহত ও আরও একজন আহত হন। জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে গুলিতে নিহত হন আরও একজন। এ ছাড়া মধ্য গাজার আজ-জাহরা এলাকায় ধ্বংসস্তূপ থেকে উদ্ধার করা হয় এক ফিলিস্তিনির মরদেহ।
বিভিন্ন চিকিৎসা সূত্র জানিয়েছে, ফেরত পাওয়া অনেক মরদেহে চোখ বাঁধা, হাতকড়া পরানো, দাঁত ও অঙ্গ হারানোসহ বর্বর নির্যাতনের প্রমাণ মিলেছে। কিছু মরদেহ পচে গেছে, আবার কিছুতে পোড়ার চিহ্ন রয়েছে।
মানবাধিকার সংগঠনগুলোর অভিযোগ, ইসরায়েল বহু বছর ধরে বিচারবহির্ভূতভাবে হাজারো ফিলিস্তিনিকে আটক রেখে নির্যাতন করে আসছে। গাজায় যুদ্ধ শুরুর পর থেকে এই নির্যাতনের মাত্রা আরও বেড়েছে বলে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিবেদন ইঙ্গিত দিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় স্বাক্ষরিত বন্দি-বিনিময় চুক্তির আওতায় হামাস ২০ জন জীবিত বন্দি মুক্তি দেয়, আর ইসরায়েল মুক্তি দেয় প্রায় দুই হাজার ফিলিস্তিনি রাজনৈতিক বন্দিকে। এর পর গাজার কিছু এলাকা থেকে আংশিক সেনা প্রত্যাহারও করে ইসরায়েল।
তবে ১০ অক্টোবর যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পরও গাজায় হামলা বন্ধ হয়নি। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুযায়ী, মাত্র দুই দিনে ইসরায়েলি হামলায় ১০৪ জন ফিলিস্তিনি নিহত, যাদের মধ্যে ৪৬ শিশু ও ২০ নারী রয়েছেন।
