কুলাউড়ায় দাবি আদায়ে স্টেশনজুড়ে জনতার ঢল
মৌলভীবাজার প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২০:৩২, ১ নভেম্বর ২০২৫
মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় সিলেট-ঢাকা ও সিলেট-কক্সবাজার রেলপথে দুটি নতুন ট্রেন চালুসহ আট দফা দাবিতে সকাল থেকেই স্টেশনজুড়ে জনতার ঢল নামে। শনিবার (১ নভেম্বর) সকাল ১০টা থেকে শুরু হওয়া এই রেল অবরোধ কর্মসূচি রেল কর্তৃপক্ষের আশ্বাস পাওয়ার পর দুপুর ২টার দিকে প্রত্যাহার করা হয়।
রেলওয়ের পক্ষ থেকে আলোচনায় অংশ নেন ঢাকা বিভাগীয় বাণিজ্যিক কর্মকর্তা মহব্বত জান চৌধুরী এবং বিভাগীয় প্রকৌশলী-২ আহসান হাবিব। স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মহিউদ্দিন, থানার ওসি মো. ওমর ফারুক ও স্টেশনমাস্টার রোমান আহমেদ।
অবরোধ স্থলে উপস্থিত ছিলেন সাবেক এমপি নবাব আলী আব্বাস খান, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মো. ফজলুল হক খান সাহেদ, উপজেলা বিএনপি সভাপতি জয়নাল আবেদীন বাচ্চু, সাধারণ সম্পাদক বদরুজ্জামান সজল, উপজেলা জামায়াতের নায়েবে আমির মো. জাকির হোসেন, এবং আন্দোলনের মুখ্য সমন্বয়ক আতিকুর রহমান আখইসহ স্থানীয় রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতারা।
অবরোধ চলাকালে কুলাউড়া, শায়েস্তাগঞ্জ ও শ্রীমঙ্গলসহ বিভিন্ন স্টেশনে অন্তত কয়েকটি আন্তনগর ট্রেন আটকা পড়ে। দুপুরের পর রেল কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে আশ্বাস মেলাতেই অবরোধ প্রত্যাহার করেন আন্দোলনকারীরা।
‘আট দফা দাবি বাস্তবায়ন আন্দোলন’-এর সমন্বয়ক আজিজুল ইসলাম বলেন, “রেলের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা আমাদের দাবিগুলো বাস্তবায়নের আশ্বাস দিয়েছেন। আমরা এখন বাস্তব অগ্রগতি দেখার অপেক্ষায়।”
রেলওয়ে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন,সব আন্তনগর ট্রেনে অতিরিক্ত বগি সংযোজন,উন্নতমানের ইঞ্জিন স্থাপন,
ডিসেম্বরের মধ্যে বন্ধ স্টেশনগুলো চালু,সিলেট–আখাউড়া রুটে দুটি লোকাল ট্রেন চালু,৭২ ঘণ্টার মধ্যে কুলাউড়া–সিলেট অংশে প্রতিটি আন্তনগরে ৪০ আসনবিশিষ্ট নতুন বগি যুক্ত,১,৭৩৯ কোটি টাকার রেলপথ সংস্কার প্রকল্প বাস্তবায়ন,
২০২৬ সালের জানুয়ারিতে সিলেট–ঢাকা ও সিলেট–কক্সবাজার রুটে দুটি নতুন ট্রেন চালুর ব্যবস্থা করা হবে।
আন্দোলনকারীরা জানিয়েছেন, সিলেট অঞ্চলে দ্রুতগামী ট্রেনের অভাব, শিডিউল বিপর্যয় ও নড়বড়ে রেললাইন দীর্ঘদিন ধরে যাত্রীদের ভোগান্তির কারণ হয়ে আছে। বক্তারা সতর্ক করেন, সময়মতো সংস্কার না হলে সিলেট অঞ্চল রেলযোগাযোগে একসময় বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়তে পারে।
তাদের আট দফা দাবি হলো—
১. ঢাকা–সিলেট রুটে টাঙ্গুয়ার এক্সপ্রেস দ্রুত চালু
২. সিলেট–ঢাকা ও সিলেট–কক্সবাজারে দুটি বিশেষ ট্রেন
৩. আখাউড়া–সিলেট রুটে ডুয়েলগেজ ডাবল লাইন
৪. আখাউড়া–সিলেট সেকশনে লোকাল ট্রেন চালু
৫. বন্ধ স্টেশন পুনরায় চালু
৬. কুলাউড়া ও শ্রীমঙ্গলে আসনসংখ্যা বৃদ্ধি
৭. কালনী ও পারাবত ট্রেনের অপ্রয়োজনীয় স্টপেজ বাতিল
৮. ত্রুটিমুক্ত ইঞ্জিন ও অতিরিক্ত বগি সংযোজন
