নির্বাচনের আগে গণভোটের কোনো সুযোগ এখন আর নেই: মির্জা ফখরুল
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৪:৩৭, ৩১ অক্টোবর ২০২৫
 
						
									দেশের বর্তমান রাজনৈতিক সংকটের জন্য অন্তর্বর্তী সরকারকেই দায়ী করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, “অন্তর্বর্তীকালীন সরকার জনগণের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। নির্বাচনের আগে গণভোটের কোনো সুযোগ এখন আর নেই; নির্বাচনের দিনই গণভোট হবে— দুটি ব্যালট থাকবে, একটি নির্বাচনের জন্য, অন্যটি গণভোটের জন্য।”
শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) জাতীয় প্রেসক্লাবে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডির ৫৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন তিনি।
মির্জা ফখরুল বলেন, “অন্তর্বর্তী সরকার ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে করা অঙ্গীকার ভঙ্গ করেছে। যেদিন ঐকমত্যের নথি জমা দেওয়া হলো— ১৭ তারিখে বৃষ্টির মধ্যে রাজনৈতিক দলগুলো ঐকমত্যে পৌঁছে স্বাক্ষর করেছিল। কিন্তু সেই নথি প্রধান উপদেষ্টার কাছে উপস্থাপন করার পর দেখা গেলো, আমাদের দেওয়া ‘নোট অব ডিসেন্ট’ অংশ বাদ দেওয়া হয়েছে। এটা বিশ্বাসঘাতকতা, ইটস আ ব্রিচ অব ট্রাস্ট।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা ঐকমত্যের আলোচনায় অংশ নিয়েছি, নীতিগতভাবে সংস্কারের পক্ষে থেকেছি। কিন্তু অন্তর্বর্তী সরকার জনগণের আস্থা ভেঙে দিয়েছে, রাজনৈতিক সঙ্কটের দায় তাদেরই নিতে হবে।”
বিএনপি মহাসচিব বলেন, “বিএনপির জন্মই হয়েছে সংস্কারের মধ্য দিয়ে। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান একদলীয় শাসনব্যবস্থা থেকে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। পরে দেশনেত্রী খালেদা জিয়া পার্লামেন্টারি পদ্ধতি ফিরিয়ে আনেন ও কেয়ারটেকার সরকার ব্যবস্থা প্রবর্তন করেন, যার অধীনে চারটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।”
তিনি বলেন, “যারা বলে বিএনপি সংস্কার চায় না, তারা জাতিকে বিভ্রান্ত করছে। আমাদের ১০ দফা, ২৭ দফা, ৩১ দফা— সবই সংস্কারের ধারাবাহিকতা।”
মির্জা ফখরুল বলেন, “আমরা নির্বাচন করবো, নির্বাচন করতে চাই। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার ঘোষণার সঙ্গে আমরা একমত। কিন্তু একটি মহল নির্বাচন বানচাল করতে উঠেপড়ে লেগেছে, বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে।”
তিনি আরও যোগ করেন, “জনগণই চূড়ান্ত রায় দেবে— নির্বাচন ও গণভোটের দিনেই সেই সুযোগ আসবে।”

 
													 
													 
													 
													 
													 
													 
													 
													 
													