ফরিদপুরে পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সভা ফের পণ্ড
ফরিদপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২১:৩৩, ৩১ অক্টোবর ২০২৫ | আপডেট: ২২:৪৩, ৩১ অক্টোবর ২০২৫
 
						
									ফরিদপুরে আন্তঃজেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের ত্রিবার্ষিক সাধারণ সভা ফের পণ্ড হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির আশঙ্কায় প্রশাসনের নির্দেশে সভাটি বন্ধ করে দেয় পুলিশ।
শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) সকাল ১০টায় গোয়ালচামটের পুরাতন বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আব্দুর রউফ অডিটোরিয়ামে সভা শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু শুরু হওয়ার আগেই দুপক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দিলে প্রশাসন সভা বন্ধ করে দেয়।
এর আগে বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) সংগঠনের সদস্য খায়রুল বাশার সবুজ জেলা প্রশাসকের কাছে অভিযোগ করেন, ‘এই সাধারণ সভার আয়োজকরা আওয়ামী লীগের দোসর, তাদের আয়োজনে আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটতে পারে।’
অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে প্রশাসন সতর্ক অবস্থান নেয় এবং শুক্রবার সকালে পুলিশ মোতায়েন করা হয়। পরে সভাস্থলে গিয়ে পুলিশ সভা বন্ধ করে দেয়।
শ্রমিকরা জানান, শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি আব্দুল মান্নান শেখ মানা ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম মো. আজাদ সকাল থেকেই সভা আয়োজনের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। ব্যানার টানানো, প্যান্ডেল তৈরি ও শ্রমিকদের সহায়তা তহবিল থেকে ক্ষতিপূরণ ও খাবার বিতরণের পরিকল্পনাও ছিল। কিন্তু অপর একটি পক্ষের বাধার মুখে সভাস্থলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এরপর পুলিশ এসে কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়।
সকাল সাড়ে ১১টার দিকে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, অডিটোরিয়ামের প্রবেশপথ তালাবদ্ধ, বাইরে প্রায় ৩০ জন পুলিশ সদস্য মোতায়েন। শ্রমিকরা বাইরে অবস্থান করছেন। দুপুরে রান্না করা খাবার পৌর বাস টার্মিনালে সরিয়ে নেওয়া হয়।
এ বিষয়ে শ্রমিক দল নেতা মোজাফফর আলী মুসা বলেন, ‘আওয়ামী লীগের ছত্রচ্ছায়ায় এই সাধারণ সভার আয়োজন করা হয়েছিল, যাদের শ্রমিকদের সঙ্গে কোনো সম্পৃক্ততা নেই। এই মঞ্চে তারেক রহমান, খালেদা জিয়া বা শহীদ জিয়ার কোনো ছবিও নেই। আমরা এ সভা প্রতিহত করেছি।’
অন্যদিকে সভাপতি আব্দুল মান্নান শেখ মানা বলেন, ‘একটি পক্ষ প্রশাসনের কাছে অভিযোগ দিয়েছে বলে পুলিশ সভা বন্ধ করেছে। আমি আজকের পর থেকে শ্রমিক রাজনীতি করব না।’
সভা স্থগিত হওয়ায় সাধারণ শ্রমিকদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। কেউ কেউ বলছেন, সাধারণ সভা হলে নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন নেতৃত্ব আসত—আমরা সেটাই চাই। অন্যরা বলছেন, নির্বাচন ছাড়াও নিয়মতান্ত্রিকভাবে কমিটি গঠনের সুযোগ আছে।
এ বিষয়ে কোতোয়ালি থানার পরিদর্শক মো. আব্দুল্লাহ বিশ্বাস বলেন, ‘একটি পক্ষ অভিযোগ করেছিল, আইনশৃঙ্খলার অবনতি হতে পারে—তাই সভা আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে। উভয়পক্ষ একমত হলে পরবর্তী সময়ে সভা করার অনুমতি দেওয়া হবে।

 
													 
													 
													 
													 
													 
													 
													 
													 
													 
													