বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞার কারণ জানতে চেয়ে সদুত্তর পাইনি
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২:২০, ৩১ অক্টোবর ২০২৫ | আপডেট: ১২:২১, ৩১ অক্টোবর ২০২৫
 
						ছবি: সংগৃহীত
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)-এর নেতা ও সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী আ ন ম এহসানুল হক মিলন অভিযোগ করেছেন যে, ব্যাংককে চিকিৎসার উদ্দেশ্যে যাত্রাকালে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাকে বিদেশ যেতে বাধা দেওয়া হয়, তবে এ বিষয়ে তিনি কোনো সন্তোষজনক ব্যাখ্যা পাননি।
শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই অভিযোগ করেন।
তিনি বলেন,“ব্যাংককে চিকিৎসার জন্য রওনা হওয়ার সময় ইমিগ্রেশন কাউন্টারে জানানো হয়, আমার বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা আছে। কিন্তু এর কারণ জানতে চেয়ে কোনো সদুত্তর পাইনি।”
মিলন বলেন,“আমি ব্যাংককে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জানতে পারি, বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশীদের বৈঠকে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। দলের নির্দেশনা পেয়ে চিকিৎসা অসম্পূর্ণ রেখেই ২৫ অক্টোবর ঢাকায় ফিরে আসি। সংগঠনিক কার্যক্রম সম্পন্ন করে ৩০ অক্টোবর পুনরায় চিকিৎসার উদ্দেশ্যে ব্যাংককে যাত্রা করি। কিন্তু বিমানবন্দরে গিয়ে জানতে পারি নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।”
তিনি অভিযোগ করেন, পূর্ববর্তী সরকার বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের বিদেশযাত্রা রোধকে ‘নিপীড়নের হাতিয়ার’ হিসেবে ব্যবহার করেছিল, যা এখনো চলমান থাকা দুঃখজনক।
বিএনপির এই নেতা বলেন,“আমি গণতান্ত্রিক, সাংবিধানিক রাজনীতিতে বিশ্বাসী মানুষ। কখনো কোনো রাষ্ট্রবিরোধী বা ষড়যন্ত্রমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিলাম না। দেশের মানুষের ভালোবাসায় আমেরিকার নাগরিকত্ব ত্যাগ করে রাজনীতিতে এসেছি।”
তিনি আরও বলেন,“এই সরকার মহান ২৪ গণঅভ্যুত্থানের সরকার। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন সরকার কোনো ভুল তথ্য বা ষড়যন্ত্রে বিভ্রান্ত হবে না। সরকারের প্রতি অনুরোধ, আমারসহ দেশের সব নাগরিকের সাংবিধানিক ও মানবিক অধিকার রক্ষার যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করুন।”
গত বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) সকালে বিএনপির সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী আ ন ম এহসানুল হক মিলন ব্যাংককের উদ্দেশ্যে রওনা হতে গিয়ে বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশনে বাধার মুখে পড়েন। ইমিগ্রেশন কর্মকর্তারা জানান, তার বিরুদ্ধে বিদেশযাত্রা নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।

 
													 
													 
													 
													 
													 
													 
													 
													 
													