জাসদের ৫৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৯:০৮, ৩১ অক্টোবর ২০২৫
 
						জাসদের ৫৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত। ছবি: সংগৃহীত
জাসদের ৫৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আজ শুক্রবার বিকেল ৪টায় রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ দলীয় কার্যালয়ের শহীদ কর্নেল তাহের মিলনায়তনে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
দিনব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে সকাল ১০টায় জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। এরপর দলের শহীদ বিপ্লবী ও প্রয়াত নেতাদের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন জাসদের কার্যকরী সভাপতি অ্যাডভোকেট রবিউল আলম এবং পরিচালনা করেন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মীরজা মোহাম্মদ আনোয়ারুল হক।
এতে বক্তব্য রাখেন সহ-সভাপতি শফি উদ্দিন মোল্লা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শওকত রায়হান, ওবায়দুর রহমান চুন্নু, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল আলীম স্বপন, জাতীয় শ্রমিক জোট–বাংলাদেশের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সাইফুজ্জামান বাদশা, জনসংযোগ সম্পাদক ও জাতীয় যুবজোট সভাপতি শরীফুল কবির স্বপন, কোষাধ্যক্ষ মো. মনির হোসেন, দফতর সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট মহিবুর রহমান মিহির, নারী নেত্রী সৈয়দা শামীমা সুলতানা হ্যাপি, ঢাকা মহানগর পূর্বের সহ-সভাপতি মাহবুবুর রহমান, পশ্চিমের সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট আবু হানিফ, জাতীয় শ্রমিক জোটের সাংগঠনিক সম্পাদক কনক বর্মন, জাতীয় যুবজোটের সাধারণ সম্পাদক শরীফুল ইসলাম সুজন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ (জাসদ) সাধারণ সম্পাদক মাসুদ আহমেদ প্রমুখ।
সভাপতির বক্তব্যে অ্যাডভোকেট রবিউল আলম বলেন,“১৯৭২ সালের ৩১ অক্টোবর বৈষম্য ও শোষণমুক্ত সমাজব্যবস্থা গড়ার লক্ষ্যেই জাসদের জন্ম হয়েছিল। মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ ও অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থার প্রশ্নে জাসদ কখনও আপস করবে না।”
তিনি আরও বলেন, জাসদ সভাপতি ও জাতীয় বীর জননেতা হাসানুল হক ইনুর বিরুদ্ধে বিচারিক হত্যার ষড়যন্ত্র চলছে—এ ষড়যন্ত্র রুখে দিতে জনগণের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। একইসঙ্গে জাসদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহিল কায়ূমের বিরুদ্ধে দায়ের করা ‘মিথ্যা রাজনৈতিক মামলা’ প্রত্যাহার ও নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানান।
সভায় বক্তারা মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের রাজনীতিকদের হত্যার চক্রান্ত বন্ধে জোর দাবি জানান। তারা বিচারবহির্ভূত হত্যা, অপহরণ, গুম, ঢালাও মামলা ও নিপীড়ন বন্ধে সরকারের কার্যকর উদ্যোগ কামনা করেন। নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ, বন্ধ কলকারখানা চালু, শ্রমিকদের বকেয়া পরিশোধ এবং দ্রব্যমূল্যের লাগাম টানতে বাজার সিন্ডিকেট ভাঙার আহ্বান জানান বক্তারা।
অতিরিক্তভাবে, শ্রমজীবী ও স্বল্পআয়ের মানুষের জন্য স্থায়ী রেশনিং ব্যবস্থা চালু এবং বিদেশীদের হাতে বন্দর ব্যবস্থাপনা না দিয়ে স্থানীয় জনবল দিয়ে সরকারি তত্ত্বাবধানে বন্দর পরিচালনারও দাবি জানানো হয়।

 
													 
													 
													 
													 
													 
													 
													 
													 
													