ঐকমত্যের নামে সরকার জোর করে সিদ্ধান্ত নিতে চাইছে: রুহিন হোসেন প্রিন্স

বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাবেক সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স অভিযোগ করেছেন, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার ‘ঐকমত্যের’ নামে দেশের ওপর একের পর এক সিদ্ধান্ত জোর করে চাপিয়ে দিতে চাচ্ছে।

শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) বিকেলে রাজধানীর মিরপুরে দলের ঢাকা মহানগর উত্তর শাখার উদ্যোগে আয়োজিত জনসভায় তিনি এই অভিযোগ করেন। 

এসময় রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, “ইউনূস সরকার ঐকমত্যের নামে যে সিদ্ধান্তগুলো নিতে চাইছে, সেগুলোর অনেকটাই অপ্রয়োজনীয়। সরকার যে গণভোট প্রক্রিয়া শুরু করেছে, সেটিও অপ্রয়োজনীয় এবং রাজনৈতিক বিভ্রান্তি তৈরি করবে।”

তিনি আরও অভিযোগ করেন, “বর্তমান সরকার কাঠামোয় একটি নির্দিষ্ট দল প্রভাব বিস্তার করছে। ফলে অনেক সিদ্ধান্ত সেই দলের পছন্দমতো নিচ্ছে সরকার, যা জনগণের স্বার্থবিরোধী।”

দেশে বিরাজমান চরম বৈষম্যের কথা উল্লেখ করে প্রিন্স বলেন, “দেশে এখন গণতন্ত্র তো দূরের কথা, বৈষম্য চরমে পৌঁছেছে। এই অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে হলে ফেব্রুয়ারিতেই জাতীয় নির্বাচন দিতে হবে। প্রয়োজনে নির্বাচন এগিয়ে এনে তারিখ ঘোষণা করুন।”

তিনি দাবি করেন, দেশের মানুষ এখন রাজনৈতিক স্বচ্ছতা ও নির্বাচনের মাধ্যমে পরিবর্তন চায়।

ঐকমত্য কমিশনের সমালোচনা করে সিপিবির এই নেতা বলেন, “সরকার গঠিত ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকগুলোতে কেবল জামায়াত, বিএনপি ও এনসিপিকেই ‘দল হিসেবে গণ্য’ করা হচ্ছে। অথচ দেশের মেহনতি মানুষের প্রতিনিধিত্ব নিয়ে কোনো আলোচনা নেই। এই সরকার শ্রমজীবী মানুষের জীবনমান নিয়ে কোনো ভাবনাই করছে না। তাদের জন্য কোনো কমিশন গঠন না করায় বিষয়টি স্পষ্ট হয়েছে।”

রুহিন হোসেন প্রিন্স আরও বলেন, “ইউনূস সরকারকে দ্রুত যেতে হবে। বিদেশিদের কাছে দেশকে দিয়ে দেওয়ার প্রক্রিয়া বন্ধ করতে হবে। দেশের মালিক জনগণ, তাদের মতামত উপেক্ষা করে কোনো সিদ্ধান্তই গ্রহণযোগ্য নয়।”