২০২৬ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে শরণার্থী প্রবেশের সীমা ৭৫০০ জন
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ১১:১৭, ৩১ অক্টোবর ২০২৫
 
						
									মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০২৬ অর্থবছরের জন্য যুক্তরাষ্ট্রে শরণার্থী প্রবেশের সীমা নির্ধারণ করেছেন মাত্র ৭ হাজার ৫০০ জনে—যা দেশটির ইতিহাসে সর্বনিম্ন সংখ্যা। বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) হোয়াইট হাউস থেকে প্রকাশিত এক ঘোষণায় বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
ঘোষণায় বলা হয়, নতুন এই শরণার্থী সীমা কার্যকর হবে আগামী বছর থেকে। ট্রাম্প প্রশাসন জানায়, যুক্তরাষ্ট্র এবার অগ্রাধিকার দেবে দক্ষিণ আফ্রিকার শ্বেতাঙ্গ জনগোষ্ঠীকে, যারা তাদের দেশে “বর্ণভিত্তিক নিপীড়নের শিকার” বলে দাবি করেছে প্রশাসন।
রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, দক্ষিণ আফ্রিকার সরকার এই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে। তারা বলছে, দেশটিতে বর্ণবৈষম্যবিরোধী নীতিই কার্যকর, কোনো জাতিগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় নিপীড়ন নেই।
দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই ট্রাম্প শরণার্থী প্রবেশ সাময়িকভাবে স্থগিত করেছিলেন। তিনি বলেন, “যুক্তরাষ্ট্রে কাউকে আশ্রয় দেওয়া হবে কেবল তখনই, যখন তা দেশের সর্বোত্তম স্বার্থে হবে।”
এরপরই শ্বেতাঙ্গ আফ্রিকানদের জন্য বিশেষ শরণার্থী কোটা চালুর সিদ্ধান্ত নেন তিনি, যা বিশ্বজুড়ে সমালোচনার জন্ম দেয়। সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মাত্র ১৩৮ জন দক্ষিণ আফ্রিকান যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের অনুমতি পেয়েছেন বলে সরকারি তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।
অভ্যন্তরীণ সরকারি নথিতে বলা হয়েছে, ইউরোপের কিছু নাগরিকও শরণার্থী সুবিধায় অগ্রাধিকার পেতে পারেন, যদি তারা তাদের দেশে অভিবাসনবিরোধী মত বা জনতাবাদী রাজনীতির সমর্থনের কারণে টার্গেট হন। তবে ট্রাম্পের ঘোষণায় ইউরোপীয়দের নাম স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়নি।
মার্কিন আইনে শরণার্থী সীমা নির্ধারণের আগে কংগ্রেসের সঙ্গে পরামর্শ করা বাধ্যতামূলক। কিন্তু এ বছর ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এমন কোনো বৈঠক হয়নি বলে অভিযোগ তুলেছেন ডেমোক্র্যাট সদস্যরা। প্রতিনিধি জেমি রাসকিন ও সিনেটর ডিক ডারবিনসহ একাধিক আইনপ্রণেতা এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন,
এক প্রশাসনিক কর্মকর্তা জানান, সরকারি শাটডাউনের কারণে বিলম্ব হয়েছে এবং যতদিন তা চলবে, ততদিন কোনো নতুন শরণার্থী প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে না।

 
													 
													 
													 
													 
													 
													 
													 
													 
													