প্রিন্স উপাধি হারালেন অ্যান্ড্রু, ছাড়তে হচ্ছে রাজপ্রাসাদ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ১১:১১, ৩১ অক্টোবর ২০২৫
 
						
									ব্রিটেনের রাজা তৃতীয় চার্লস তার ছোট ভাই ও প্রয়াত রানি এলিজাবেথ দ্বিতীয়ের পুত্র প্রিন্স অ্যান্ড্রুর সব রাজকীয় উপাধি ও সম্মানসূচক মর্যাদা প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছেন। পাশাপাশি তাকে উইন্ডসরের রাজপ্রাসাদ রয়্যাল লজ ছাড়ারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের নারী নিপীড়নকারী জেফরি এপস্টেইনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ও তার বিরুদ্ধে ওঠা যৌন কেলেঙ্কারির অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে এই কঠোর পদক্ষেপ নেন রাজা তৃতীয় চার্লস।
এর আগে চলতি মাসের মাঝামাঝিতে অ্যান্ড্রু নিজেই তার রাজকীয় উপাধি ‘ডিউক অব ইয়র্ক’সহ অন্যান্য সম্মানসূচক খেতাব ত্যাগের ঘোষণা দিয়েছিলেন। তবে এবার রাজপরিবারের আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্তে তা কার্যকর করা হলো।
প্রিন্স অ্যান্ড্রুর বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, তিনি যুক্তরাষ্ট্রে নারী পাচার ও অপ্রাপ্তবয়স্ক মেয়েদের যৌন নিপীড়নের দায়ে দণ্ডপ্রাপ্ত জেফরি এপস্টেইনের ঘনিষ্ঠ ছিলেন এবং এপস্টেইনের মাধ্যমে একাধিক তরুণীর সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন।
২০০১ সালে ভার্জিনিয়া জিউফ্রি নামের এক নারী অভিযোগ করেন, মাত্র ১৭ বছর বয়সে তিনি প্রিন্স অ্যান্ড্রুর যৌন নির্যাতনের শিকার হন। পরে মানসিক চাপে আত্মহত্যা করেন তিনি। এই ঘটনার পর থেকেই রাজপরিবারের ওপর অ্যান্ড্রুর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার চাপ বাড়তে থাকে।
বৃহস্পতিবার প্রকাশিত এক আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে বাকিংহাম প্রাসাদ জানিয়েছে, রাজা তৃতীয় চার্লস প্রিন্স অ্যান্ড্রুর সব উপাধি, সম্মান ও মর্যাদা প্রত্যাহারের আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া শুরু করেছেন। একই সঙ্গে তাকে রয়্যাল লজ ছাড়ার লিখিত নোটিশও পাঠানো হয়েছে।
অ্যান্ড্রুকে জানানো হয়েছে, তিনি রাজপরিবারের স্যান্ড্রিংহাম এস্টেটের একটি ব্যক্তিগত আবাসে স্থানান্তরিত হতে পারবেন। ওই আবাসনের যাবতীয় ব্যয়ভার বহন করবেন রাজা চার্লস নিজে।
রাজপ্রাসাদের বিবৃতিতে আরও বলা হয়, “প্রিন্স অ্যান্ড্রুর বিরুদ্ধে নেওয়া সিদ্ধান্তগুলো প্রয়োজনীয় বলে মনে করা হচ্ছে। রাজা ও রানি ভুক্তভোগীদের প্রতি গভীর সহমর্মিতা প্রকাশ করছেন।”
অন্যদিকে অ্যান্ড্রু সব অভিযোগ অস্বীকার করে দাবি করেছেন, তিনি কোনো অবৈধ কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিলেন না। তবুও ব্রিটিশ রাজতন্ত্রের ভাবমূর্তি রক্ষায় এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে রাজা চার্লস কঠোর অবস্থান দেখালেন বলে মনে করছেন রাজকীয় বিশ্লেষকরা।

 
													 
													 
													 
													 
													 
													 
													 
													 
													