ডেঙ্গুতে বছরের সর্বোচ্চ রোগী-মৃত্যু অক্টোবরে
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২১:১৫, ৩১ অক্টোবর ২০২৫ | আপডেট: ০০:১৭, ১ নভেম্বর ২০২৫
 
						এবছরের সর্বোচ্চ ডেঙ্গুর মাস অক্টোবর। ছবি: সংগৃহীত
দেশে এ বছর সর্বোচ্চ ডেঙ্গু শনাক্ত ও মৃত্যু হয়েছে চলতি অক্টোবর মাসে। শুক্রবার মাসের শেষ দিন পর্যন্ত এডিস মশাবাহিত রোগটি নিয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ২২ হাজার ৫২০ জন ও মারা গেছে ৮০ জন। এর মধ্য দিয়ে এ বছর ডেঙ্গু শনাক্ত ও মৃত্যুর রেকর্ড হলো এ মাসে।
এর আগে বছরের সর্বোচ্চ ডেঙ্গুর মাস ছিল সেপ্টেম্বর। সে মাসে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ছিল ১৫ হাজার ৮৬৬ জন ও মারা যায় ৭৬ জন।
সে হিসাবে সেপ্টেম্বরে দৈনিক গড় রোগী ৭২৬ ও অক্টোবরে ছিল ৫২৮ জন। তবে দৈনিক গড় মৃত্যু প্রায় সমান ছিল।
অক্টোবরের শেষ ২৪ ঘণ্টায় (বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে শুক্রবার সকাল ৮টা পর্যন্ত) ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরও ৫০৬ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। তবে এ সময়ে ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে নতুন করে কারো মৃত্যু হয়নি।
শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত একদিনে নতুন রোগীদের মধ্যে বরিশাল বিভাগে ৫৩ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৯১ জন, ঢাকা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ২১৩ জন, ঢাকা উত্তর সিটিতে ১০৮ জন, ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ১৬ জন ও ময়মনসিংহ বিভাগে ২৫ জন নতুন রোগী ভর্তি হয়েছে।
গত এক দিনে সারা দেশে ৫৬৮ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছর ছাড়পত্র পেয়েছে ৬৬ হাজার ৮০২ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, এ বছরের জানুয়ারি থেকে অক্টোবরের শেষ দিন পর্যন্ত ৬৯ হাজার ৮৬২ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ও মারা গেছে ২৭৮ জন।
এর আগে আগস্টে ৩৯, জুলাইয়ে ৪১, জুনে ১৯, মে মাসে তিন, এপ্রিলে ৭, ফেব্রুয়ারিতে তিন ও জানুয়ারিতে ১০ জনের মৃত্যু হয় ডেঙ্গুতে। মার্চ মাসে কেউ মারা যায়নি।
অপরদিকে জানুয়ারিতে হাসপাতালে ভর্তি হয় ১ হাজার ১৬১ জন, ফেব্রুয়ারিতে ৩৭৪, মার্চে ৩৩৬, এপ্রিলে ৭০১, মে মাসে ১ হাজার ৭৭৩, জুনে ৫ হাজার ৯৫১ ও আগস্টে ১০ হাজার ৪৯৬ জন।
প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন এক লাখ এক হাজার ২১৪ জন এবং ডেঙ্গুতে মোট মৃত্যুবরণ করেছেন ৫৭৫ জন। এর আগে ২০২৩ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মোট এক হাজার ৭০৫ জনের মৃত্যু হয় এবং ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন মোট তিন লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন।

 
													 
													 
													 
													 
													 
													 
													 
													 
													 
													