টমাহক ক্ষেপণাস্ত্র পেতে চলেছে ইউক্রেন?
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ১৪:২৬, ১ নভেম্বর ২০২৫ | আপডেট: ২০:০৬, ১ নভেম্বর ২০২৫
ছবি : সংগৃহীত
ওয়াশিংটন ও কিয়েভে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে পেন্টাগনের এক সিদ্ধান্তে। মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর (পেন্টাগন) ইউক্রেনকে দূরপাল্লার টমাহক ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহে সম্মতি জানিয়েছে—যা দেড় হাজার কিলোমিটার দূর পর্যন্ত লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম। তবে এই চুক্তি কার্যকর করতে হলে শেষ কথা বলতে হবে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে।
সূত্র বলছে, কিছুদিন আগেই ট্রাম্প ইউক্রেনকে এই অস্ত্র দেওয়ার সম্ভাবনা ‘না’-এর মধ্যেই রেখেছিলেন। তিনি যুক্তি দিয়েছিলেন, “আমরা এমন কিছু দিতে পারি না যা আমাদের নিজেদের প্রতিরক্ষার জন্য অপরিহার্য।” কিন্তু তার পরেই পেন্টাগনের অনুমোদন প্রকাশ্যে আসায় আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে এসেছে মার্কিন প্রশাসনের ভেতরের নীতি-দ্বন্দ্ব।
দীর্ঘদিন ধরেই ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি টমাহক ক্ষেপণাস্ত্রের অনুরোধ করে আসছেন। কারণ এই অস্ত্র হাতে পেলে রাশিয়ার অভ্যন্তরীণ স্থাপনায়, বিশেষত তেলক্ষেত্র ও ট্যাঙ্কারে, নির্ভুল হামলা চালানো সহজ হবে।
আমেরিকার প্রতিরক্ষা কর্মকর্তারা জানাচ্ছেন, টমাহক সরবরাহে যুক্তরাষ্ট্রের আর্থিক বা সামরিক ক্ষতির আশঙ্কা নেই। তবে বিষয়টি এখন রাজনৈতিক পর্যায়ে গেছে—বিশ্বজুড়ে এর প্রভাব বিবেচনা করবেন ট্রাম্প স্বয়ং।
চলতি মাসের শুরুতে জেলেনস্কির সঙ্গে মধ্যাহ্নভোজে ট্রাম্প টমাহক প্রসঙ্গ তোলেন। তার আগে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে ফোনালাপে অংশ নেওয়ার পর থেকেই ট্রাম্পের অবস্থানে পরিবর্তন এসেছে বলে পর্যবেক্ষকদের ধারণা।
পেন্টাগনের সম্মতি এখন কেবল ট্রাম্পের স্বাক্ষরের অপেক্ষায়। তিনি যদি অনুমোদন দেন, তবে ইউক্রেন প্রথমবারের মতো টমাহকের মতো আধুনিক ও দীর্ঘপাল্লার আক্রমণাত্মক অস্ত্র হাতে পাবে—যা পূর্ব ইউরোপের যুদ্ধ পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলতে পারে।
