খুলনা অঞ্চলে আমন কাটা শুরু, ভালো ফলনে খুশি কৃষক
খুলনা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০১:২৪, ২ নভেম্বর ২০২৫
খুলনা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা ও নড়াইল- খুলনা বিভাগের এই চার জেলায় পুরোদমে শুরু হয়েছে রোপা আমন (টি-আমন) ধান কাটা। কৃষকরা জানিয়েছেন, এবার ফলন প্রত্যাশার চেয়েও ভালো হয়েছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের (ডিএই) তথ্য অনুযায়ী, এ বছর খুলনা অঞ্চলে মোট ২ লাখ ৯০ হাজার ৩৪২ হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষ করা হয়েছে। উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১১ লাখ ৭ হাজার ৮০৫ টন। যদিও নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে আবাদ কিছুটা কম (৮ হাজার ২৩৯ হেক্টর বা ২.৭৮ শতাংশ), তারপরও ফলন সন্তোষজনক পর্যায়ে রয়েছে।
খরার পরও অর্জিত আবাদ লক্ষ্যমাত্রা ৯৭% এর বেশি বলে জানিয়েছে জেলা কৃষি অফিস। তাদের তথ্য অনুযায়ি, প্রাথমিক পর্যায়ে খরার কারণে আমন চারা রোপণ ব্যাহত হলেও মৌসুমের শেষে বৃষ্টিপাত পরিস্থিতি উন্নত করে। খুলনা অঞ্চলে আবাদ লক্ষ্যমাত্রার ৯৭.২ শতাংশ অর্জিত হয়েছে, যা কৃষকদের মধ্যে নতুন উদ্দীপনা এনেছে।
বটিয়াঘাটা ও দাকোপ এলাকার মাঠ ঘুরে দেখা গেছে, কৃষকরা ভোর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ধান কাটা ও সংরক্ষণের কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন।
খুলনার বটিয়াঘাটা উপজেলার গঙ্গারামপুর ইউনিয়নের কৃষক শহিদুল আলম জানান, “প্রতি বিঘায় এবার ১৮ মণ ধান পেয়েছি, যেখানে গত বছর ছিল ১৭ মণ। আবহাওয়া ভালো থাকায় ফলন আশানুরূপ হয়েছে।”
দাকোপ উপজেলার কলাবগী গ্রামের কৃষক হামিদ মিয়া বলেন, “ঘূর্ণিঝড় বা ঘন কুয়াশা আসার আগেই ধান শেষ করার চেষ্টা করছি। এজন্য পরিবারের সবাই— এমনকি স্কুলগামী বাচ্চারাও মাঠে সাহায্য করছে।”
খুলনা অঞ্চলের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক মো. রফিকুল ইসলাম জানান, “২৯ অক্টোবর পর্যন্ত প্রায় ১১ হাজার ৪৪ হেক্টর জমির ধান কাটা সম্পন্ন হয়েছে, যা মোট আবাদ এলাকার ১৩.৫ শতাংশ। ডিসেম্বরের মধ্যে বাকি জমির ধান কাটা শেষ হবে।”
তিনি আরও বলেন, “কৃষকদের আধুনিক কৃষি প্রযুক্তি ব্যবহারে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। বিএডিসির উন্নত বীজ, সময়মতো সার সরবরাহ ও অনুকূল আবহাওয়ার কারণে কাঙ্ক্ষিত উৎপাদন সম্ভব হয়েছে।”
