১৩৪ ঘণ্টা পর অনশন ভাঙলেন তারেক, হাসপাতালে ভর্তি
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:০৪, ১০ নভেম্বর ২০২৫
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদের অনুরোধে ১৩৪ ঘণ্টা পর অনশন ভেঙেছেন ‘আমজনতার দল’-এর সাধারণ সম্পাদক তারেক রহমান। দলের নিবন্ধনের দাবিতে রাজধানীতে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সামনে শুরু করা তার টানা অনশন শেষ হয় রবিবার (৯ নভেম্বর) রাতে।
দীর্ঘ সময় না খেয়ে থাকার কারণে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে সালাহউদ্দিন আহমেদ তাকে দেখতে যান। পরে তার অনুরোধেই তারেক অনশন ভাঙেন এবং অ্যাম্বুলেন্সে করে তাকে গণস্বাস্থ্য হাসপাতালে নেওয়া হয়।
এর আগে গত মঙ্গলবার বিকেল থেকে রাজধানীর আগারগাঁও নির্বাচন কমিশন ভবনের সামনে অনশন শুরু করেন তারেক রহমান। তার দল ‘আমজনতার দল’ নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধন না পাওয়ায় তিনি ঘোষণা দেন—“নিবন্ধন না দেওয়া পর্যন্ত আন্দোলন ও অনশন চালিয়ে যাব।”
কিন্তু টানা পাঁচ দিন অনশনের পর শারীরিক অবস্থার দ্রুত অবনতি ঘটে তার।
আজ রবিবার রাতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ অনশনস্থলে গিয়ে তারেক রহমানের সঙ্গে দেখা করেন এবং তাকে অনশন ভাঙার অনুরোধ জানান। এসময় বিএনপির এই নেতা তারেককে বলেন, “তুমি এখন অনশন ভেঙে ফেলো, তোমার স্বাস্থ্য আগে।” পরে তারেক রহমান অনশন ভাঙেন।
পরে সালাহউদ্দিন আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, “আমরা নির্বাচন কমিশনের কাছে আহ্বান জানাই, তারেক রহমান ও তার দলের বিষয়ে সহানুভূতি দেখান। তিনি নিবন্ধনের জন্য আইনগত প্রক্রিয়ায় আবেদন করেছিলেন।”
এর আগে বৃহস্পতিবার বিকেলে অনশনস্থলে গিয়ে সংহতি জানান বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ। সেদিন তিনি বলেন, “কিছু গুরুত্বহীন দল নিবন্ধন পেয়েছে, অথচ তারেকের মতো দেশপ্রেমিক তরুণের দলকে বাদ দেওয়া হয়েছে। তিনি কোনো গোপন রাজনীতি করতে চাননি, আইনসম্মত পথে দল গড়েছেন।”
রবিবার দুপুরে বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনও তারেক রহমানকে দেখতে যান এবং দ্রুত সুস্থতা প্রার্থনা করেন।
গত ৪ নভেম্বর নির্বাচন কমিশন জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল (মার্ক্সবাদী) ও বাংলাদেশ আম জনগণ পার্টিকে প্রাথমিক নিবন্ধনের অনুমোদন দেয়। তবে সেই তালিকায় থাকা ‘আমজনতার দল’ তালিকা থেকে বাদ পড়ে। এরপর থেকেই দলটির সাধারণ সম্পাদক তারেক রহমান অনশন শুরু করেন।
গণস্বাস্থ্য হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, দীর্ঘ অনশনজনিত কারণে তারেক রহমান শরীরে পানি ও গ্লুকোজের ঘাটতিতে ভুগছেন। তাকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে এবং শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল রাখার চেষ্টা চলছে।
