ট্রাইব্যুনালে টানা কড়া নিরাপত্তা, মোতায়েন সেনা–বিজিবি
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৫:৩৩, ১৮ নভেম্বর ২০২৫
কড়া নিরাপত্তায় ঘেরা আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এলাকা। ছবি: সংগৃহীত
জুলাই গণঅভ্যুত্থান চলাকালে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের মৃত্যুদণ্ডের রায়ের পর দ্বিতীয় দিনেও কড়া নিরাপত্তায় ঘেরা আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এলাকা। মঙ্গলবার সকাল থেকেই বিচার বিভাগীয় এলাকা—বিশেষ করে হাইকোর্ট, সুপ্রিম কোর্ট ও ট্রাইব্যুনাল চত্বর—জুড়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বেশ কয়েকটি ইউনিট অবস্থান নিয়েছে।
সকাল সাড়ে ১১টার দিকে ট্রাইব্যুনাল এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, হাইকোর্টের প্রধান ফটকের পাশে বিজিবির সদস্যরা অবস্থান করছেন। অল্প দূরেই রয়েছে সেনাবাহিনীর একটি সাজোঁয়া যান। এছাড়া ট্রাইব্যুনালের ভেতরে ও বাইরে মোতায়েন রয়েছে বিপুলসংখ্যক পুলিশ।
সূত্র জানায়, আশপাশের এলাকায় সাদা পোশাকে গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যদের টহল বাড়ানো হয়েছে। পথচারী, আইনজীবী, সাংবাদিক—সবার পরিচয় যাচাই করে তারপরই প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে।
একই মামলায় পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল-মামুনকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেওয়ার পর নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করা হয়। বিচারপ্রার্থীদের নিরাপত্তা, সম্ভাব্য প্রতিক্রিয়া এবং সামগ্রিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে সার্বক্ষণিক নজরদারি চালানো হচ্ছে বলে জানিয়েছে একটি দায়িত্বশীল সূত্র।
সুপ্রিম কোর্টের অভ্যন্তরেও সাধারণ মানুষের চলাচল সীমিত করা হয়েছে। প্রবেশপথে অতিরিক্ত চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর এক কর্মকর্তা সমাজকালকে জানান,
“রায় ঘোষণার পরবর্তী পরিস্থিতি বিবেচনায় আনা হয়েছে বিশেষ নিরাপত্তা পরিকল্পনা। যে কোনো ধরনের উত্তেজনা বা বিশৃঙ্খলা ঠেকাতে বহুমাত্রিক ইউনিট মাঠে রয়েছে।”
শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায়ের পর সারা দেশের রাজনৈতিক পরিবেশে উত্তাপ বাড়লেও বিচারিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে রাজধানীর বিচার বিভাগীয় এলাকায় কঠোর নিরাপত্তা বলয় আগের তুলনায় আরো জোরদার করা হয়েছে।
