বেতন-যন্ত্রাংশ সংকট
পিআইএ’র ৫৫টি ফ্লাইট বিঘ্নিত
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ১৭:৩৭, ৪ নভেম্বর ২০২৫ | আপডেট: ০৩:৪৩, ৫ নভেম্বর ২০২৫
পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইনস (পিআইএ)। ছবি: সংগৃহীত
পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইনসের (পিআইএ) ফ্লাইট কার্যক্রম কার্যত স্থবির হয়ে পড়েছে ব্যবস্থাপনা ও বিমান প্রকৌশলীদের তীব্র দ্বন্দ্বে। অসন্তুষ্ট প্রকৌশলীরা ‘এয়ারওয়ার্থিনেস ক্লিয়ারেন্স’ জারি বন্ধ করে দেওয়ায় সোমবার রাত থেকে কোনো আন্তর্জাতিক ফ্লাইট নির্ধারিত সময়ে ছাড়তে পারেনি।
দেশটির অনলাইন সংবাদমাধ্যম জিও নিউজ জানায়, সোমবার সন্ধ্যা ৮টার পর থেকে কমপক্ষে ৫৫টি ফ্লাইট বিঘ্নিত হয়, যার মধ্যে করাচি, লাহোর ও ইসলামাবাদ থেকে পাঁচটি সম্পূর্ণ বাতিল করা হয়েছে। এছাড়া ১২টি আন্তর্জাতিক ফ্লাইটও প্রভাবিত হয়েছে—যার অধিকাংশেই ছিলেন ওমরা যাত্রী।
পাকিস্তান এয়ারক্রাফট ইঞ্জিনিয়ার্স সোসাইটি জানিয়েছে, তারা প্রায় আড়াই মাস ধরে কালো বাহুবন্ধনী পরে শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করছেন।
তাদের অভিযোগ,
গত ৮ বছর ধরে বেতন বৃদ্ধি হয়নি,
যন্ত্রাংশের তীব্র সংকট এবং উড়োজাহাজ পরিচালনায় নিরাপত্তা বিধি উপেক্ষা করে চাপ প্রয়োগ করা হচ্ছে।
তাদের দাবি, “আমরা যাত্রীদের জীবন ঝুঁকিতে রাখতে পারি না।”
পিআইএর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) বলেন, “যেকোনো প্রকৌশলী যদি ইচ্ছাকৃতভাবে ফ্লাইট কার্যক্রমে বাধা দেয়, তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
প্রতিষ্ঠানের এক মুখপাত্র জানান, প্রকৌশলীদের সংগঠনের কোনো আইনি স্বীকৃতি নেই এবং এ আন্দোলনের মূল উদ্দেশ্য এয়ারলাইনসের বেসরকারিকরণ প্রক্রিয়া ব্যাহত করা। তিনি আরও বলেন, “নিরাপত্তা ইস্যুর আড়ালে কর্মবিরতি চালানো যাত্রীদের দুর্ভোগ বাড়াচ্ছে এবং প্রশাসনের ওপর অনৈতিক চাপ সৃষ্টি করছে।”
পাকিস্তান এসেনশিয়াল সার্ভিস ( মেইনটেনেন্স ) অ্যাক্ট, ১৯৫২অনুযায়ী, জাতীয় এয়ারলাইনসের কর্মবিরতি বা ধর্মঘট অবৈধ এবং এতে অংশগ্রহণকারীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সিইও জানিয়েছেন, অন্য এয়ারলাইনসের প্রযুক্তিগত সহায়তা নেওয়ার উদ্যোগ চলছে এবং শিগগিরই ফ্লাইট কার্যক্রম পুনরায় চালু করা হবে।
