তত্ত্বাবধায়ক ফিরলেও নির্বাচন অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনেই
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৪:৫৩, ৫ নভেম্বর ২০২৫
বিএনপির আইনজীবী ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল। ছবি: সংগৃহীত
তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পুনর্বহালের আপিল শুনানিতে বিএনপির আইনজীবী ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল বলেছেন, তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা বাতিলের রায় ছিল “জাতির সঙ্গে প্রতারণা”। তিনি জানান, রায় যেভাবেই আসুক না কেন, আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনেই।
বুধবার (৫ নভেম্বর) সকালে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে ঘণ্টাব্যাপী শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। এদিন বিএনপির পক্ষে আপিল শুনানি শেষ হয়।
ব্যারিস্টার কাজল বলেন, “তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিলের রায় ছিল একতরফা ও অগণতান্ত্রিক। জাতির সঙ্গে প্রতারণার সমান। তবে আদালতের রায় নির্বাচনের পূর্বে এলেও, বাস্তবে নির্বাচন হবে অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনেই।”
এর আগে জামায়াতে ইসলামীসহ অন্যান্য আপিলকারীরাও নিজেদের যুক্তি উপস্থাপন শেষ করেন। এখন শুনানি শুরু করবে রাষ্ট্রপক্ষ।
বিএনপির পক্ষে আইনজীবীরা আগের শুনানিতে দাবি করেন, সাবেক প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হক ব্যক্তিগত পছন্দ-অপছন্দের বশবর্তী হয়ে ২০১১ সালে তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা বাতিলের রায় দেন।
জামায়াতে ইসলামী ও নাগরিক সংগঠন সুজনের পক্ষে আইনজীবীরাও আদালতে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পুনর্বহালের পক্ষে সাংবিধানিক ও আইনি যুক্তি তুলে ধরেন।
উল্লেখ্য, গত ২৭ আগস্ট তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিলের রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন মঞ্জুর করে সর্বোচ্চ আদালত। এরপর আপিলের অনুমতি দেওয়া হয়। এ প্রেক্ষিতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, ড. বদিউল আলম মজুমদারসহ পাঁচজন এবং জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল গোলাম পরওয়ার আপিল দায়ের করেন।
২০১১ সালে সংখ্যাগরিষ্ঠ মতের ভিত্তিতে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করেন তৎকালীন প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হক নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ।
