‘বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ অধ্যাদেশ ২০২৫’ খসড়া প্রকাশ
বন্ধ হচ্ছে ইন্টারনেট বন্ধের সুযোগ
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৬:৫৪, ৫ নভেম্বর ২০২৫
ছবি: সমাজকাল
রাষ্ট্রের নিরাপত্তা ও জনশৃঙ্খলার স্বার্থের নামে এখন থেকে আর চাইলেই ইন্টারনেট বন্ধ করা যাবে না। এমন বিধান রেখে ‘বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ অধ্যাদেশ ২০২৫’ এর খসড়া প্রকাশ করেছে সরকারের ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ। এতে ইন্টারনেট বন্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপসহ টেলিযোগাযোগ খাতে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা এবং নাগরিক অধিকার সুরক্ষায় বেশ কিছু মৌলিক ও আধুনিক প্রস্তাব অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের ওয়েবসাইটে গিয়ে যে কেউ প্রস্তাবিত এই অধ্যাদেশের খসড়া দেখতে পারবে এবং ই-মেইলের মাধ্যমে মতামত জানাতে পারবে।
বুধবার (৫ নভেম্বর) ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ প্রস্তুতকৃত ‘বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ অধ্যাদেশ ২০২৫’-এর খসড়া প্রকাশ করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট অংশীজন এবং সর্বসাধারণের অবগতি ও মতামত প্রদানের উদ্দেশে খসড়াটি ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের ওয়েবসাইটে উন্মুক্ত করা হয়েছে।
এতে বলা হয়, প্রস্তাবিত এই অধ্যাদেশে ইন্টারনেট বন্ধের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপসহ বিদ্যমান আইন ও নীতিতে বেশ কিছু মৌলিক ও যুগোপযোগী পরিবর্তন আনা হয়েছে। এর মাধ্যমে বাংলাদেশের টেলিযোগাযোগ খাতে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও নাগরিক অধিকারের সুরক্ষা আরও সুদৃঢ় হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
অধ্যাদেশের ওপর মতামত অনলাইনে পাঠানো যাবে ই-মেইল:secretary@ptd.gov.bd-এর মাধ্যমে। এছাড়াও সচিব, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ, বাংলাদেশ সচিবালয়, ঢাকা—এই ঠিকানায় ডাকযোগেও মতামত পাঠানো যাবে।
জনগণ ও অংশীজনদের আগামী ১৫ নভেম্বরের মধ্যে মতামত দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানিয়েছে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়।
বর্তমান বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইনের ৯৭(২) ধারা অনুযায়ী সরকার ‘রাষ্ট্রের নিরাপত্তা ও জনশৃঙ্খলার স্বার্থে’ টেলিযোগাযোগ সেবা নির্ধারিত সময়ের জন্য স্থগিত বা সংশোধন করতে পারে। এ সুযোগ নিয়েই বারবার ইন্টারনেট বন্ধ করা হত।
বিশেষ করে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে সব ধরনের ইন্টারনেট বন্ধ করে আওয়ামী লীগ সরকার। জুলাই মাসে টানা ৫ দিন পুরো দেশ ইন্টারনেটবিহীন ছিল। মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধ ছিল টানা ১০ দিন। এর বাইরে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্ল্যাটফর্মগুলোর ওপরও নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছিল। আগস্ট মাসে সরকার পতনের ঠিক আগেও ইন্টারনেট বন্ধ করা হয়।
এমন অবস্থার পরিবর্তনের জন্যই নতুন অধ্যাদেশ করতে যাচ্ছে সরকার।
