এনসিপির জন্য বিএনপি ৮-১০টি আসন ছাড়তে পারে
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৪:১০, ৫ নভেম্বর ২০২৫
এনসিপি ও বিএনপি। ছবি: সংগৃহীত
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রাক্কালে বিএনপি তার সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেছে। ২৩৭টি আসনে প্রার্থী ঘোষণা দেওয়ার পর দলটি জানায়, অবশিষ্ট ৬৩টি আসন শরিক ও সহযোগী রাজনৈতিক দলের জন্য বরাদ্দ থাকবে। সর্বশেষ পাওয়া তথ্যে জানা গেছে, নতুন উদীয়মান রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)–এর জন্য বিএনপি ৮ থেকে ১০টি আসন ছাড়তে পারে।
সূত্রমতে, বিএনপি ও এনসিপির মধ্যে জোট চূড়ান্ত হলে এনসিপির হাতে অন্তত ৮–১০টি আসন দেওয়া হতে পারে। আলোচনায় থাকা সম্ভাব্য আসনগুলো হলো—ঢাকা–১১ (নাহিদ ইসলাম), রংপুর–৪ (আখতার হোসেন), পঞ্চগড়–১ (সারজিস আলম), কুমিল্লা–৪ (হাসনাত আবদুল্লাহ), ঢাকা–১৮ (নাসিরুদ্দীন পাটওয়ারী), ঢাকা–৯ (তাসনিম জারা), নরসিংদী–২ (সারোয়ার তুষার), নোয়াখালী–৬ (হান্নান মাসউদ) ও ঢাকা–১৪ (আদিবুল ইসলাম আদীব)।
দলীয় সূত্রে জানা যায়, এনসিপির সঙ্গে বিএনপির কয়েক দফা অনানুষ্ঠানিক বৈঠক ইতোমধ্যেই হয়েছে। বিএনপি চাইছে, সংস্কারপন্থী ও গণতান্ত্রিক ধারার নতুন দলগুলোকে পাশে রেখে জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের অঙ্গীকারে এক নতুন রাজনৈতিক জোট গঠন করতে।
এনসিপির নেতারা জানিয়েছেন, দলটি চিরায়ত ‘বিরোধ আর প্রতিহিংসার’ রাজনীতির বাইরে গিয়ে জনগণের প্রত্যাশিত সংস্কার বাস্তবায়নকে অগ্রাধিকার দিতে চায়। সেই লক্ষ্যেই তারা বিএনপিসহ সমমনা দলের সঙ্গে জোট গঠনের আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে।
জাতীয় নাগরিক পার্টির একাধিক নেতা জানিয়েছেন, “আমরা বিশ্বাস করি, দেশের রাজনৈতিক সংস্কার ছাড়া উন্নয়ন টেকসই নয়। তাই যারা নাগরিক অধিকার, স্বচ্ছ প্রশাসন ও ন্যায়বিচারের পক্ষে অবস্থান নিতে প্রস্তুত, তাদের সঙ্গে আমরা একত্র হতে চাই।”
দলটির মুখ্য সমন্বয়ক নাসিরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, “আমরা বিদ্বেষের নয়, ঐক্যের রাজনীতি চাই। জনগণের পক্ষে সংস্কারই আমাদের মূল অঙ্গীকার।”
এনসিপি সম্প্রতি নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধন পেয়েছে এবং তাদের সাংগঠনিক কাঠামো দ্রুত সম্প্রসারিত হচ্ছে। দলটি নিজস্ব প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশ নিতে প্রস্তুতি নিচ্ছে।
অন্যদিকে বিএনপির পক্ষ থেকেও স্পষ্ট ইঙ্গিত এসেছে যে, তারা সংস্কারধারার দলগুলোর সঙ্গে সমন্বিত নির্বাচনি প্ল্যাটফর্ম গঠনে আগ্রহী।
