বিএনপির সর্বকনিষ্ঠ প্রার্থী ডা. সানসিলা
শেরপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১২:৪৮, ৫ নভেম্বর ২০২৫
ডা. সানসিলা জেবরিন প্রিয়াঙ্কা। ছবি: সংগৃহীত
বিএনপির ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সবচেয়ে কম বয়সী প্রার্থী হিসেবে আলোচনায় এসেছেন তরুণ চিকিৎসক ডা. সানসিলা জেবরিন প্রিয়াঙ্কা। মাত্র ৩০ বছর বয়সে তিনি লড়ছেন শেরপুর-১ (সদর) আসনে বিএনপির ধানের শীষ প্রতীকে।
১৯৯৩ সালের ২২ জুন জন্ম নেওয়া সানসিলা পেশায় চিকিৎসক। তিনি শেরপুর জেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক আলহাজ হযরত আলীর মেয়ে। ২০০৮ সালে এসএসসি, ২০১০ সালে এইচএসসি এবং ২০১৬ সালে এমবিবিএস সম্পন্ন করেন তিনি।
২০১৮ সালের একাদশ সংসদ নির্বাচনে যখন তার পিতা কারাগারে, তখনই শেরপুর-১ আসনে প্রার্থী হন সানসিলা। সেই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ দুর্গে ঝড় তোলেন তিনি। ভোটকেন্দ্রে হামলা, ভাঙচুর আর ভয়ভীতি উপেক্ষা করে প্রিয়াঙ্কা তীব্র প্রতিবাদ গড়ে তোলেন— যা সারা দেশে আলোচিত হয়। দুপুর ১২টার মধ্যেই তিনি প্রায় ৩৫ হাজার ভোট পান, যদিও পরবর্তীতে ভোট কারচুপির অভিযোগ তুলে ভোট থেকে সরে দাঁড়ান।
ডা. প্রিয়াঙ্কা বলেন,“২০১৮ সালে শেরপুরের মানুষ ধানের শীষের প্রতীক আর আমাকে যে ভালোবাসা দিয়েছিল, তা আমি কখনও ভুলতে পারব না। এবারও দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আমাকে মনোনয়ন দিয়েছেন— এজন্য আমি দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে ধন্যবাদ জানাই।”
তিনি আরও বলেন,“শেরপুরকে উন্নত করতে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি ও নারীর কর্মসংস্থান খাতে বিশেষ পরিকল্পনা নিয়েছি। নারীদের বড় প্রকল্পে অংশগ্রহণের সুযোগও বাড়ানো হবে।”
শেরপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম বলেন,“ডা. সানসিলা তরুণ, মেধাবী এবং কর্মঠ। তার নেতৃত্বে শেরপুর-১ আসনে এবার বিপুল ব্যবধানে জয় আসবে। তিনটি আসনই বিএনপির হবে।”
১৯৭৯ সালে এই আসনে বিএনপির প্রার্থী সাবেক মন্ত্রী ও সাংবাদিক খোন্দকার আব্দুল হামিদ এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন। ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে জয় পান সাবেক উপসচিব মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম। এরপর দীর্ঘ সময় ধরে আসনটি বিএনপির বাইরে। এবার ডা. প্রিয়াঙ্কার নেতৃত্বে সেই দীর্ঘ বিরতির অবসান ঘটানোর স্বপ্ন দেখছে দলটি।
