এয়ারবাসের ‘ঢাকা মিশনে’ ইউরোপের ৪ রাষ্ট্রদূত
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৩:৫৯, ৫ নভেম্বর ২০২৫
বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর বহর আধুনিকীকরণে এয়ারবাসের প্রস্তাবকে সমর্থন জানিয়েছে ইউরোপের চার প্রভাবশালী রাষ্ট্রদূত। তারা মনে করছেন, এয়ারবাস যুক্ত হলে বাংলাদেশের আকাশপথে চলাচলের সক্ষমতা ও আঞ্চলিক সংযোগ শক্তিশালী হবে, যা দেশটিকে ভবিষ্যতে দক্ষিণ এশিয়ার এক গুরুত্বপূর্ণ এভিয়েশন হাব হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করবে।
মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) ঢাকায় ফ্রান্স দূতাবাসে অনুষ্ঠিত ‘বাংলাদেশ বিমান চলাচল বৃদ্ধির ওপর ইউরোপীয় সংলাপ’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে এই সমর্থন ব্যক্ত করেন তারা। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ঢাকায় নিযুক্ত—
ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত জঁ-মার্ক সেরে-শারলে,ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক,জার্মান রাষ্ট্রদূত রুডিগার লটজ, এবংইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার।
অনুষ্ঠানে ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত জঁ-মার্ক সেরে-শারলে বলেন,“এয়ারবাস ইউরোপের বিমান শিল্পের কেন্দ্রে অবস্থান করছে। প্রযুক্তিগত দক্ষতা ও উদ্ভাবনের অনন্য সমন্বয়ে এটি বিশ্বের বিমান সংস্থাগুলোর এক নির্ভরযোগ্য অংশীদার। বাংলাদেশের এই বিকাশপর্বে এয়ারবাস হতে পারে গুরুত্বপূর্ণ সহযোগী।”
তিনি আরও যোগ করেন, বাংলাদেশের দ্রুত বর্ধনশীল সংযোগ ও ভৌগোলিক অবস্থান একে আঞ্চলিক এভিয়েশন হাব হিসেবে গড়ে তোলার সম্ভাবনা রাখে। বিমানের বহরে এয়ারবাস যুক্ত হলে এর নমনীয়তা, স্থিতিশীলতা ও প্রতিযোগিতা সক্ষমতা আরও বৃদ্ধি পাবে।
জার্মান রাষ্ট্রদূত রুডিগার লটজ বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি যেমন দ্রুত বাড়ছে, তেমনি এর মধ্যবিত্ত শ্রেণিও প্রসারিত হচ্ছে।
তিনি বলেন,“এখন বিমানের প্রয়োজন আধুনিক ও পরিবেশবান্ধব উড়োজাহাজ—যেখানে এয়ারবাসের নেতৃত্ব অনস্বীকার্য,।”
ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক জানান, যুক্তরাজ্য বাংলাদেশের বিমান খাতের টেকসই উন্নয়ন ও আঞ্চলিক হাব হওয়ার প্রয়াসে সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে।
তিনি বলেন, “বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও কৌশলগত অবস্থান এই অঞ্চলের ভবিষ্যত সংযোগের মূল চালিকা শক্তি হতে পারে”।
ইইউ রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার বলেন,“বাংলাদেশ ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যে বাণিজ্যিক অংশীদারত্ব আরও গভীর করতে হবে। বিমান চলাচল খাত সেই সেতুবন্ধন তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।”
