সিরিজ জয়ের পরদিনই সীমাচলম মন্দিরে কোহলি
স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশ: ১৭:১৭, ৮ ডিসেম্বর ২০২৫
বিশাখাপত্তনমের শ্রী বরাহ লক্ষ্মী নরসিংহ স্বামী মন্দিরে (সীমাচলম মন্দির) প্রার্থনায় হাজির হলেন বিরাট কোহলি। ছবি: সংগৃহীত
ভারতের দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজ জয়ের উদ্যাপন যেন মাঠেই সীমাবদ্ধ থাকেনি। তার রেশ কাটতে না কাটতেই রবিবার সকালে পরিবারের সদস্য এবং সতীর্থ ওয়াশিংটন সুন্দরকে সঙ্গে নিয়ে বিশাখাপত্তনমের শ্রী বরাহ লক্ষ্মী নরসিংহ স্বামী মন্দিরে (সীমাচলম মন্দির) প্রার্থনায় হাজির হলেন বিরাট কোহলি। সিরিজে ব্যাট হাতে নতুন রেকর্ড গড়ে আত্মবিশ্বাসে উজ্জ্বল কোহলির এই আধ্যাত্মিক যাত্রা মুহূর্তেই সামাজিক মাধ্যমে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে ওঠে।
কোহলি মন্দিরে আসবেন আগেভাগেই জানা থাকায় সকাল থেকে কড়া নিরাপত্তায় ঘিরে রাখা হয় মন্দির চত্বর। সাধারণ পুণ্যার্থীদের প্রবেশেও আনা হয় সীমাবদ্ধতা। মন্দির কর্তৃপক্ষ কোহলি, তার পরিবার, ওয়াশিংটন সুন্দর এবং দলের আরও কয়েকজনকে বিশেষ রীতিতে ভেতরে নিয়ে যান। নিয়ম অনুযায়ী সবার আগে পবিত্র স্তম্ভ আলিঙ্গন করেন কোহলি। এরপর দেবতার দর্শন, বসে পূজা–অর্চনা এবং বিভিন্ন মন্ত্রোচ্চারণে অংশ নেন তিনি। মন্দিরের পক্ষ থেকে কোহলিদের হাতে পবিত্র পোশাক, দেবতার প্রতিচ্ছবি এবং প্রসাদও তুলে দেওয়া হয়।
দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজে কোহলির ব্যাটিং ছিল আত্মবিশ্বাসী এবং পরিণত ক্রিকেটের নিখুঁত প্রতিভূ। তিন ম্যাচে তিন ইনিংসে তিনশোর উপর রান করে প্রথমবারের মতো তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে অনন্য কীর্তি ছুঁলেন কোহলি। রাঁচী ও রায়পুরে পরপর শতরান এবং শেষ ম্যাচে গুরুত্বপূর্ণ অর্ধশতক—সব মিলিয়ে সিরিজজুড়ে দাপুটে উপস্থিতি ছিল তার।
সিরিজ সেরা পুরস্কার নিতে এসে কোহলি বলেন, “গত ২–৩ বছরে এত ভাল খেলেছি বলে মনে পড়ে না। খুব খোলা মনে খেলতে পারছি। নিজের মান ধরে রেখে দলের জন্য প্রভাব ফেলতে চাই। আত্মবিশ্বাস থাকলে যেকোনো পরিস্থিতি সামলে নেওয়ার ক্ষমতা থাকে।”
নিজের সেরা ইনিংস হিসেবে কোহলি বেছে নিয়েছেন রাঁচীর শতরানকে। তার ভাষায়, “অস্ট্রেলিয়া থেকে ফেরার পর বেশ কিছুদিন খেলিনি। রাঁচীর ইনিংস আমাকে আবার মনে করিয়ে দেয়— আমার শক্তি আসলে কোথায়।”
কোহলির এই মন্দিরযাত্রা নিছক আনুষ্ঠানিকতা নয়— বরং তার বর্তমান মানসিক অবস্থারও প্রতিফলন। আন্তর্জাতিক ব্যস্ত সূচির আগে মানসিকভাবে আরও দৃঢ় হয়ে ওঠার প্রস্তুতির অংশ বলেই মনে করেন বিশ্লেষকেরা। দলের ভরসা ‘রো–কো যুগল’ সামনে দিনগুলোতেও ভারতীয় ক্রিকেটে নতুন ছন্দ যোগ করবে বলেই প্রত্যাশা।
