স্মারকলিপি নিতে ‘ভয়’! পেট্রোবাংলার মূল গেট ৪০ মিনিট বন্ধ
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৫:৫৬, ৮ ডিসেম্বর ২০২৫
পেট্রোবাংলা। গ্রাফিক্স : সমাজকাল
গ্যাসফিল্ড বিদেশি কোম্পানিকে দেওয়ার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে নাগরিক সমাজ। মানববন্ধন শেষে স্মারকলিপি দিতে গেলে হঠাৎ করেই ৪০ মিনিটের জন্য বন্ধ হয়ে যায় পেট্রোবাংলার মূল ফটক। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেন নাগরিক সমাজের নেতারা। পরে আলোচনার মাধ্যমে স্মারকলিপি গ্রহণ করে পেট্রোবাংলা কর্তৃপক্ষ।
ঢাকার কাওরানবাজারে পেট্রোবাংলার সামনে আজ সোমবার (৮ ডিসেম্বর) গ্যাসফিল্ড বিদেশি কোম্পানিকে দেওয়ার প্রতিবাদে এই মানববন্ধন আয়োজন করা হয়। রশিদপুর, ছাতক, সুনেত্রসহ একাধিক গ্যাসক্ষেত্র বিদেশি প্রতিষ্ঠানের হাতে তুলে দেওয়ার প্রক্রিয়া বন্ধের দাবি জানানো হয় কর্মসূচি থেকে।
সংগঠনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য দেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সাবেক সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের সাবেক পরিচালক খালিদ আবু নাসের, ক্যাবের আজীবন সদস্য আবুল কালাম, গ্রীন পার্টির চেয়ারম্যান রাজু খানসহ অন্যান্যরা।
বক্তারা অভিযোগ করেন, দেশের প্রাকৃতিক সম্পদ বিদেশি কোম্পানির হাতে তুলে দেওয়ার যে উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে—তা জনগণের স্বার্থবিরোধী, রাষ্ট্রবিরোধী এবং সম্পূর্ণ অস্বচ্ছ। তারা অবিলম্বে এই প্রক্রিয়া বন্ধ ও জাতীয় সম্পদ রক্ষায় স্বচ্ছ নীতি গ্রহণের আহ্বান জানান।
স্মারকলিপি নিতে দেরি—৪০ মিনিট বন্ধ ছিল মূল ফটক
মানববন্ধন শেষে নেতৃবৃন্দ পেট্রোবাংলা চেয়ারম্যান বরাবর স্মারকলিপি দিতে গেলে পরিস্থিতি কিছুটা উত্তেজনাপূর্ণ হয়ে ওঠে। অভিযোগ, পেট্রোবাংলা কর্তৃপক্ষের নির্দেশেই কর্মচারীরা ৪০ মিনিট ধরে মূল গেট বন্ধ করে রাখেন।
এ আচরণে বিস্ময় ও ক্ষোভ প্রকাশ করেন মানববন্ধনে থাকা নেতারা। তারা বলেন,“রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানে নাগরিকদের প্রবেশে এমন বাধা কেন? স্মারকলিপি গ্রহণে ভয় কীসের?”
পরে রুহিন হোসেন প্রিন্সের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল পেট্রোবাংলার পরিচালক (প্রশাসন)–এর কাছে স্মারকলিপি জমা দেন। এসময় গেট বন্ধের কারণ ও দাবিগুলো নিয়ে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে—তা জানতে চান নেতারা।
নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা জানান, গেট বন্ধের ঘটনা গণতান্ত্রিক আচরণের পরিপন্থী এবং এ ধরনের কর্তৃত্ববাদী আচরণ জনগণের মধ্যে সন্দেহ আরও বাড়ায়।
