ট্রাইব্যুনালে ক্ষমা চেয়ে অব্যাহতি পেলেন বিএনপির ফজলুর রহমান
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৩:৩২, ৮ ডিসেম্বর ২০২৫
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ফজলুর রহমান। ছবি: সংগৃহীত
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ফজলুর রহমান টেলিভিশন টকশোতে অংশ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রায় প্রসঙ্গে ‘অবমাননাকর মন্তব্য’ করার অভিযোগে আদালত অবমাননার নোটিস পেয়েছিলেন। সোমবার (৮ ডিসেম্বর) ট্রাইব্যুনালে সশরীরে হাজির হয়ে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনার পর তিনি অব্যাহতি পেয়েছেন।
বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ নিঃশর্ত ক্ষমা গ্রহণ করে কারণ দর্শাও নোটিসটি নিষ্পত্তি করেন এবং তাকে সতর্ক করে দেন।
এর আগে গত ২৩ নভেম্বর একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টকশোতে অংশ নেন ফজলুর রহমান। সেখানে শেখ হাসিনার রায় প্রসঙ্গে কিছু মন্তব্য করেন বলে অভিযোগ করে প্রসিকিউশন। মন্তব্যগুলোর কিছু অংশ পেনড্রাইভে সংগ্রহ করে ২৬ নভেম্বর আদালতে উপস্থাপন করা হয়। একই দিনে তার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ আনা হয়।
৩০ নভেম্বর ট্রাইব্যুনালের নির্দেশে তাকে অ্যাকাডেমিক সনদ, বার কাউন্সিল সনদসহ হাজির হতে বলা হয়। নির্দেশ অনুযায়ী সোমবার তিনি হাজির হয়ে আদালতের কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা চান।
এর আগেও বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে দলীয় পদ হারান ফজলুর রহমান। জুলাই মাসের গণঅভ্যুত্থান নিয়ে মন্তব্য করায় বিএনপি গত ২৬ আগস্ট তার প্রাথমিক সদস্যপদসহ সব সাংগঠনিক দায়িত্ব তিন মাসের জন্য স্থগিত করে।
তবে পরবর্তীতে ৩ নভেম্বর ঘোষিত বিএনপির মনোনয়ন তালিকায় কিশোরগঞ্জ–৪ আসনে তার নাম রাখা হয়।
একসময় আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন ফজলুর রহমান। ২০০৭ সালের দিকে তিনি বিএনপিতে যোগ দেন এবং প্রায় আট বছর কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।
কিশোরগঞ্জ-৪ (ইটনা, মিঠামইন, অষ্টগ্রাম) আসনে ধানের শীষ প্রতীকে এর আগে দুবার নির্বাচনে অংশ নিয়ে সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
