প্রতি রাতে এক কোয়া রসুন খাওয়ার ৫টি উপকার
জীবনযাপন ডেস্ক
প্রকাশ: ১৬:৩২, ৮ ডিসেম্বর ২০২৫
রসুন
ছোট ছোট অভ্যাসও অনেক সময় বড় স্বাস্থ্য উপকার পেতে সাহায্য করে। যেমন—ঘুমাতে যাওয়ার আগে মাত্র এক কোয়া কাঁচা রসুন খাওয়া। প্রাচীন চিকিৎসায় রসুনের ব্যবহার বহুদিনের, আর আধুনিক গবেষণাও জানাচ্ছে—রাতের রুটিনে রসুন যোগ করলে দেহে নানা ইতিবাচক পরিবর্তন ঘটে।
প্রতি রাতে এক কোয়া রসুন খেলে শরীরে যা ঘটে
হজম শক্তি উন্নত করে
২০১৯ সালের গবেষণায় দেখা গেছে, রসুন পেটের প্রয়োজনীয় হজম এনজাইমকে সক্রিয় করে এবং গ্যাস-অস্বস্তি কমায়। নিয়মিত রাতে এক কোয়া রসুন খেলে—পেট ফাঁপা কমে, সকালে গ্যাসের সমস্যা হ্রাস পায় এবং পরিপাকতন্ত্রে গুড ব্যাকটেরিয়া’ বাড়ে
যা সার্বিক হজমশক্তিকে আরও মজবুত করে।
২.রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
রসুনের অ্যালিসিন নামের যৌগটি অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল ও অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি গুণে ভরপুর।
২০২৩ সালের গবেষণা বলছে, অ্যালিসিন রোগ প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে, মৌসুমি ঠান্ডা-কাশির তীব্রতা কমাতে সহায়তা করে, শীতকালে শরীরকে অতিরিক্ত সুরক্ষা দেয়। নিয়মিত অভ্যাস করলে ইমিউন সিস্টেম শক্তিশালী থাকে।
শরীরের প্রদাহ কমায়
২০১৫ সালের গবেষণায় পাওয়া গেছে—রসুনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট প্রদাহ কমাতে কার্যকর। দীর্ঘদিন খেলে স্থায়ী ইনফ্লেমেশন হ্রাস পায়
ফলে দেহে বাড়ে শক্তি, ক্লান্তি কমে, ব্যথা কম অনুভূত হয়।
হৃদযন্ত্রকে সুরক্ষা দেয়
২০১৩ সালের একটি স্টাডি বলছে—রসুন ভালো কোলেস্টেরল বাড়ায়, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে, রক্তনালীকে আরাম দেয়, রক্ত সঞ্চালন সহজ করে।
রাতে রসুন খেলে শরীর দীর্ঘ সময় ধরে এর উপকারী যৌগগুলো শোষণ করতে পারে, যা হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।
রক্তে শর্করার মাত্রা স্থিতিশীল রাখে
২০২৩ সালের গবেষণা অনুযায়ী—রসুন গ্লুকোজ নিয়ন্ত্রণে হালকা কিন্তু স্থায়ী প্রভাব রাখে।
নিয়মিত অভ্যাস করলে—রক্তে শর্করার ওঠানামা কমে
ডায়াবেটিস ঝুঁকির কিছুটা নিয়ন্ত্রণে থাকে
তবে এটি কখনোই চিকিৎসার বিকল্প নয়, বরং স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের একটি পরিপূরক।
