সীমিত আকারে পেঁয়াজ আমদানির সিদ্ধান্ত সরকারের
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:২২, ৭ ডিসেম্বর ২০২৫
নিত্যপণ্য পেঁয়াজের বাজার আবারও অস্থিতিশীল হয়ে উঠেছে। কয়েক দিনের ব্যবধানে কেজিপ্রতি ৪০–৫০ টাকা পর্যন্ত দাম বেড়ে গেছে। বাজারে সরবরাহ কমে যাওয়ার অজুহাতে বিক্রেতারা যে বাড়তি দাম চাপিয়েছে, তা নিয়ন্ত্রণে আনতেই সরকার সীমিত আকারে পেঁয়াজ আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
শনিবার (৬ ডিসেম্বর) কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার মোহাম্মদ জাকির হোসেন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়—আজ ৭ ডিসেম্বর থেকে প্রতিদিন ৫০টি করে আমদানি অনুমতি (আইপি) ইস্যু করা হবে। প্রতিটি আইপিতে সর্বোচ্চ ৩০ টন পেঁয়াজ আমদানির সুযোগ দেওয়া হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ১ আগস্ট ২০২৫ থেকে এখন পর্যন্ত যারা আমদানির অনুমতির জন্য আবেদন করেছিলেন, তারাই পুনরায় আবেদন করতে পারবেন। প্রতিটি আমদানিকারক কেবল একবারই আবেদন করার সুযোগ পাবেন। বাজার সহনীয় না হওয়া পর্যন্ত এ প্রক্রিয়া চালু থাকবে।
ডিসেম্বরে গত কয়েক বছর ধরেই অস্থির হয়ে উঠে পেঁয়াজের বাজার। এবারও দেশের বেশির ভাগ বাজারে সরবরাহ কমার কারণ দেখিয়ে পেঁয়াজের কেজিতে ৫০ টাকা বাড়ানো হয়েছে। মাত্র তিন দিন আগেও প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৮০-৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছিল, যা এখন বেড়ে ১২০-১৩০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। নতুন পাওয়া মুড়িকাটা পেঁয়াজও ১১০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
পেঁয়াজ ব্যবসায়ীদের দাবি, চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম থাকায় দাম বেড়েছে। তাদের মতে, দেশীয় পেঁয়াজের মৌসুম শেষ হওয়ায় সরবরাহ হ্রাস পেয়েছে।
তবে বাজার সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, প্রতি বছর এ সময় মুনাফালোভী অসাধু ব্যবসায়ীরা ইচ্ছাকৃতভাবে পেঁয়াজের দাম বাড়াতে তৎপর হয়ে ওঠে। গত মৌসুমে কৃষকরা ন্যায্য দাম না পেয়ে পেঁয়াজ বিক্রি করে দিয়েছেন, বর্তমানে যা অসাধু মজুতদারদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। মজুতদাররা সিন্ডিকেট গঠন করে পেঁয়াজ বাজারে আটকে রেখে কৃত্রিম সংকট তৈরি করছে এবং দাম বাড়াচ্ছে। এ ছাড়াও, তারা দাম বৃদ্ধির অজুহাত দেখিয়ে ভারত থেকে আমদানি বাড়ানোর জন্য সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করছে।
