খেলাপি ঋণ অবলোপনের অনুমতি বাংলাদেশ ব্যাংকের
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৯:৩১, ৪ ডিসেম্বর ২০২৫
বাংলাদেশ ব্যাংক। গ্রাফিক্স : সমাজকাল
দেশের ব্যাংকিং খাতে দীর্ঘদিনের ভারী চাপ হয়ে থাকা দীর্ঘমেয়াদি খেলাপি ঋণ ব্যবস্থাপনায় প্রথমবারের মতো বড় পরিবর্তন আনল বাংলাদেশ ব্যাংক।
বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) জারি করা নীতিমালায় ব্যাংকগুলোকে আংশিক ঋণ অবলোপনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক জানায়, বহু পুরোনো মন্দ ও ক্ষতিগ্রস্ত ঋণের বড় অংশ আদায়যোগ্য নয়। এসব ঋণের অযোগ্য ও জামানতবিহীন অংশ স্থিতিপত্রে বহাল থাকায় ব্যাংকগুলোর প্রকৃত আর্থিক সক্ষমতা বিকৃত দেখাচ্ছিল।
নতুন নীতিমালা ব্যাংকগুলোকে আদায়-অযোগ্য অংশ সরিয়ে ঝুঁকির প্রকৃত চিত্র পরিষ্কারভাবে প্রকাশ করতে দেবে।
নতুন নীতিমালায় যা থাকছে-
১. সকল ক্ষেত্রে প্রথমে সুদের অংশ অবলোপন করতে হবে ও অনারোপিত সুদ আলাদা হিসাবে প্রদর্শন করতে হবে।
২. প্রয়োজনে জামানতের বর্তমান বাজারমূল্য পুনর্মূল্যায়ন করা যাবে।
৩. গ্রাহক যে টাকা পরিশোধ করবে, তা আগে জামানতবিহীন অবলোপনকৃত অংশে সমন্বয় হবে। অবলোপনকৃত অংশ সমন্বয় শেষে বাড়তি টাকা যাবে স্থিতিপত্রে থাকা মূল বকেয়া কমাতে।
৪. আংশিক অবলোপন হলেও গ্রাহককে পুনঃতফসিল বা এক্সিট সুবিধা দেওয়া যাবে, যাতে বকেয়া আদায় সহজ হয়।
৫. ব্যাংকগুলোকে গ্রাহকের মোট বকেয়া হিসাব করতে হবে তিনটি অংশ যোগ করে— স্থিতিপত্রে দেখানো বকেয়া ঋণ, অনারোপিত সুদ ও অবলোপনকৃত কিন্তু অনাদায়ী অংশ।
পুরনো নিয়ম বাতিল
এ নীতিমালার মাধ্যমে আগে যে নিয়মে আংশিক অবলোপনের সুযোগ ছিল না, তা বাতিল করা হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক আশা করছে, আংশিক অবলোপনের মাধ্যমে ব্যাংকগুলোর স্থিতিপত্র আরও স্বচ্ছ হবে, অকারণে স্ফীত অনাদায়ী ঋণ কমবে ও সামগ্রিক খেলাপি ঋণ ব্যবস্থাপনা আরও শক্তিশালী হবে।
