আসছে সোনার চেয়েও দামি ধাতু
সমাজকাল ডেস্ক
প্রকাশ: ১৬:১৭, ২৪ অক্টোবর ২০২৫ | আপডেট: ১৭:০১, ২৪ অক্টোবর ২০২৫
সোনা দেখলেই লাফিয়ে ওঠেন মহিলারা। প্রাচীনকাল থেকেই সোনাকে গণ্য করা হয় শুভ ধাতু হিসেবে। সোনার মতো ধাতু আর দ্বিতীয়টি নেই। তাই সব ধাতুর মধ্যে সেরা এই ধাতুটি।
উপমহাদেশের ঐতিহ্যে সোনার কদর অন্য সব ধাতুকে টেক্কা দিয়ে আসছে সেই প্রাচীন কাল থেকেই। বিয়ে থেকে সব অনুষ্ঠানেই সোনা ছাড়া চলে না!
কিন্তু কেমন হয় যদি বাজারে এমন একটি ধাতু এসে হাজির হয় যা আপনার আমার চেনা, আর যদি জানা যায় যে সেই ধাতুই নাকি সোনার চেয়েও দামি হতে চলেছে?
অবাক হয়ে যাচ্ছেন? বলা হচ্ছে, আগামী ১০ বছরে এই ধাতুর চাহিদা হতে চলেছে সোনার চেয়েও বেশি। যদিও এটি দেখতে রুপোর মতো, তবুও এখনও এর দাম সোনার তুলনায় অনেক গুণ কম বলেই জানা গিয়েছে।
আগস্টের শুরু থেকেই সোনার দাম ওঠানামা করছে। ২২ ক্যারেট সোনার গয়না এখন ২ লাখ ৯ হাজার টাকা ভরি। তাই সোনার পরিবর্তে পিতল, রূপা এবং অ্যালুমিনিয়ামের মতো ধাতুতে ব্যবহৃত জিঙ্কের ব্যবহার দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে।
আন্তর্জাতিক জিঙ্ক অ্যাসোসিয়েশন জানিয়েছে, আগামী ১০ বছরে জিঙ্কের ব্যবহার শুধু ভারতেই ১ দশমিক ১ মিলিয়ন টন থেকে ২০ লাখ টন বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

আইজেডএ এর পরিচালক অ্যান্ড্রু গ্রিন বলেছেন, আগামী ১০ বছরে এটি ৩০ লাখ টনে পৌঁছনোর সম্ভাবনা রয়েছে। এর বিশেষ দিক হলো জিঙ্কের ব্যবহার সোনার তুলনায় বহুগুণ বেশি।
অ্যান্ড্রু গ্রিন বলেন, প্রাথমিক উৎপাদনের উপর ভিত্তি করে বিশ্বব্যাপী বর্তমানে জিংকের বাজার প্রতি বছর ১৩ দশমিক ৫ মিলিয়ন টন। গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, মাথাপিছু জিঙ্ক ব্যবহারের ক্ষেত্রে, বিশ্বব্যাপী গড় জিঙ্কের ব্যবহার ভারত ও বাংলাদেশের ব্যবহারের তুলনায় চার থেকে পাঁচ গুণ বেশি।
এই মুহূর্তে বৈশ্বিক অটোমেশন শিল্পের ৯০ থেকে ৯৫ শতাংশ গ্যালভানাইজড ইস্পাতের অবদান রয়েছে। জিঙ্ক ইস্পাতকে মরচে পড়া থেকে রক্ষা করে, তার ব্যবহার মাত্র ২৩ শতাংশ।
সৌরশক্তি প্রয়োগে জিঙ্কের চাহিদা বিশ্বব্যাপী ৪৩ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে এবং ২০৩০ সালের মধ্যে বায়ুশক্তি খাতে দ্বিগুণ হবে এই ধাতুর চাহিদা যা সব রেকর্ডকে ছাড়িয়ে যাবে।
