সাংহাইয়ের মসজিদে ধর্মীয় শৃঙ্খলা
মাহফুজ সিদ্দিকী হিমালয়
প্রকাশ: ২৩:০৩, ২৪ অক্টোবর ২০২৫ | আপডেট: ২৩:১৫, ২৪ অক্টোবর ২০২৫
সাংহাইয়ের জিংওয়ান মসজিদ। এখানে নির্দিষ্ট স্থান ছাড়া ধর্মচর্চা নিষেধ। এখানকার মুসলিমরা ধর্মীয় শৃঙ্খলা বজায় রাখেন, যা অনেক মুসলিম দেশেও দেখা যায় না
সাংহাইয়ের জিংওয়ান মসজিদে জুমার নামাজে অনেকগুলো জাতীয়তা আর জাতিসত্তার মানুষ দেখলাম। চায়নায় প্রকাশ্যে সকল প্রকার ধর্মীয় এক্টিভিটিই নিষিদ্ধ শুনলাম। যে যার ধর্ম পালন করবে, তবে সেটা নির্দিষ্ট স্থানে এবং নিজের বাসায়।
প্রতিদিনের জীবনে আকুন্ঠ কনজ্যুমারিজম আর প্রচ্ছন্ন নিহিলিজমের মধ্যে থেকেও যারা ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলে তাদের অনেক বেশি ধার্মিক মনে হয়।
বাংলাদেশের অনেক মসজিদেই নামাজে অংশগ্রহণের সুযোগ হয়েছে আমার। সাংহাইয়ের এ সীমিত পরিসরের মসজিদে আগত মানুষগুলোর মধ্যে যে ধর্মীয় ইন্টিগ্রিটি লক্ষ্য করলাম, বাংলাদেশের মসজিদে তা অনুপস্থিত মনে হয়েছে। এখানে কয়েকটা ইন্টারেস্টিং ফাইন্ডিংস পেলাম।
এক. আগত ৬০-৭০ জন মুসলিমের সবার পোশাক ক্যাজুয়াল। আলখাল্লা পরিহিত নয় একজনও।

জিংওয়ান মসজিদের ইমাম খুতবা দিচ্ছেন
দুই. দাড়িওয়ালা মানুষ দেখলাম ৪-৫ জন, এমনকি ইমামই ক্লিনশেভড।
তিন. নামাজে সুরা ফাতিহার পরে সকলে একযোগে আমিন বলে, দ্যোতনা সৃষ্টি হয়। বাংলাদেশে অনেকে আমিন বলে, কেউ কেউ বলে না। ফলে কম্পোজিশনাল ইউনিফর্মিটি থাকে না।
চার. এখানে আজানের ধরন একটু আলাদা। পার্থক্যটা ব্যাখ্যা করতে পারব। বাংলাদেশের কারীদের তিলওয়াত খুবই শ্রুতিমধুর, এখানে তার কমতি বোধ করলাম
লেখক : মাহফুজ সিদ্দিকী হিমালয়, লেখক ও গবেষক
