ছিল পরিত্যক্ত মালামাল, পুরোনো ফার্নিচার, কাগজপত্র
মিরপুরে বহুতল ভবনের আগুন নিয়ন্ত্রণে, হতাহত ঘটেনি
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:৩৩, ২৫ অক্টোবর ২০২৫
রাজধানীর মিরপুর কালশীর চন্দ্রবিন্দু মোড় এলাকায় বহুতল ভবনটির আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। ফায়ার সার্ভিসের সাতটি ইউনিট প্রায় দুই ঘণ্টার চেষ্টায় শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) দিনগত রাত ১২টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণকক্ষের কর্মকর্তা আনোয়ার আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে রাত সোয়া ১০টার দিকে ছয়তলা এই বাণিজ্যিক ভবনের সর্বোচ্চ তলায় আগুন লাগে। ভবনটির নিচতলায় বিবাহ বাড়ি কমিউনিটি সেন্টারও রয়েছে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের সাতটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে।
ফায়ার সার্ভিসের ডিউটি অফিসার রাকিবুল হাসান জানান, রাত ১০টা ১২ মিনিটে আগুন লাগার খবর পাওয়ার পর ১০টা ২৭ মিনিটে প্রথম ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে কাজ শুরু করে। পরে পর্যায়ক্রমে আরও ইউনিট যুক্ত হয়।
তবে এই অগ্নিকাণ্ডে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস। সংস্থাটি বলেছে, রাজধানীর মিরপুরের কালশীতে বহুতল ভবনের যে তলায় আগুন লেগেছিল সেখানে শুধু পরিত্যক্ত মালামাল, পুরোনো ফার্নিচার ও কাগজপত্র ছিল।
আগুণ নিয়ন্ত্রণের পর শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে অগ্নিকাণ্ডের বিষয়ে ব্রিফিং করেন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপপরিচালক মো. ছালেহ উদ্দিন।
এই কর্মকর্তা বলেন, রাত ১০ টা ১২ মিনিট নাগাদ আমরা একটা মেসেজ পাই যে মিরপুর-১১ নম্বরে বিবাহ বাড়ি কমিউনিটি সেন্টারের বিল্ডিংয়ে আগুন লেগেছে। খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই আমাদের পল্লবী ফায়ার স্টেশন থেকে দুটি ইউনিট এখানে আসে। তারা আগুনের ভয়াবহতা দেখে সাহায্য চায়। এরপর কুর্মিটোলা ফায়ার স্টেশন এবং মিরপুর ফায়ার স্টেশন থেকে আরও ইউনিট পাঠাই। আমাদের মোট সাতটি ইউনিট এখানে কাজ করে।
তিনি বলেন, আমরা ১২টা ৫ মিনিটে আগুন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আনি। কিন্তু এখনো আগুন জ্বলছে, সম্পূর্ণ নির্বাপণ হয়নি। তবে আগুন এখন আমাদের নিয়ন্ত্রণে। ভেতরে আমাদের লোকজন কাজ করছেন। ভবনের দুই/একটা ফ্লোর খালি আছে। যেখানে আগুন লেগেছিল সেখানে শুধু পরিত্যক্ত মালপত্রে আগুন জ্বলছিল।
আগুনের সূত্রপাত ও হতাহতের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত আমরা কোনো হতাহতের খবর পাইনি। মনে হয় না যে কেউ আহত বা নিহত হয়েছেন। আর এই আগুন কী কারণে লেগেছিল, কত টাকার ক্ষতি হলো এটা আমরা তদন্তের পর বলতে পারবো।
এটি কোনো পোশাক কারখানা কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটি আসলে পোশাক কারখানা কি না সেটাও বোঝা যাচ্ছে না। সেখানে পরিত্যক্ত মালামাল, পুরোনো ফার্নিচার ও কাগজপত্র ছিল। এই ভবনের কাউকেই আমরা এখনো পাইনি। আমরা আগুন সম্পূর্ণ নির্বাপণ করে তারপর এখান থেকে যাবো। তবে আগুন এখন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে, আর বাড়ার কোনো আশঙ্কা নেই।
