৩ শতাধিক স্বেচ্ছা রক্তদাতাকে সম্মাননা কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০০:২৭, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫
কমপক্ষে ৩ বার রক্তদান করে লাইফ লং, ১০ বারের দানে সিলভার, ২৫ বারে গোল্ডেন এবং ৫০ বার রক্তদান করে প্লাটিনাম ক্লাবের সদস্য হয়েছেন—দেশের এমন তিন শতাধিক স্বেচ্ছা রক্তদাতাকে সম্মাননা দিয়েছে কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন।
সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর কাকরাইলের ইনস্টিটিউট অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশ (আইডিইবি) মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে এই সম্মাননা দেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল মজিদ বলেন, স্বেচ্ছা রক্তদান কার্যক্রমের মতো সামাজিক ও মানবিক উদ্যোগের কোনো মূল্যায়ন করা যায় না। আর মানুষের পক্ষেও এর প্রতিদান দেওয়া সম্ভব নয়। এর প্রতিদান কেবল স্রষ্টাই দিতে পারেন।
যবিপ্রবি উপাচার্য আরও বলেন, রক্তের গুরুত্বের কথা একজন রক্তগ্রহীতা মাত্রই বুঝতে পারেন। তাই প্রত্যন্ত অঞ্চলসহ দেশের সর্বত্রই স্বেচ্ছা রক্তদানে মানুষকে আরও উদ্বুদ্ধ করে তোলা প্রয়োজন।
অনুষ্ঠানে যবিপ্রবি উপাচার্য সম্মাননাপ্রাপ্ত স্বেচ্ছা রক্তদাতাদের হাতে সম্মাননা সনদ, ক্রেস্ট ও মেডেল তুলে দেন।
এ সময় স্বেচ্ছা রক্তদাতাদের পক্ষে রক্তদানের অনুভূতি জানান ‘ও’ পজেটিভ গ্রুপের ৫১ বারের রক্তদাতা রুবাইয়াত হাসান সিরাজ এবং নিয়মিত রক্তগ্রহীতা থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত ফারহান তানভীর।
কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন স্বেচ্ছা রক্তদান কার্যক্রমের প্রধান সমন্বয়ক নাহার আল বোখারীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের পরিচালক (মোটিভেশন) এম রেজাউল হাসান।
তিনি জানান, দুই যুগে প্রায় ১৭ লাখ ৩০ হাজার ইউনিট রক্ত দিয়ে সেবা দিতে পেরেছে কোয়ান্টাম। এজন্যে তিনি স্বেচ্ছা রক্তদাতাদের কৃতজ্ঞতা জানানোর পাশাপাশি দেশে রক্ত চাহিদা পুরোপুরি মেটাতে তরুণ স্বেচ্ছা রক্তদাতাদের মানবিক এ সেবায় এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন জানায়, কৃত্রিম উপায়ে রক্ত তৈরি করা যায় না এবং অন্য কোনো প্রাণীর রক্ত মানুষের শরীরে সঞ্চালন করা যায় না। একজন মানুষের প্রয়োজনে আরেকজন মানুষ রক্ত না দিলে রক্ত পাওয়ার আর কোনো বিকল্প নেই। তাছাড়া একজন প্রাপ্তবয়স্ক সুস্থ মানুষ নিয়মিত চার মাস অন্তর অনায়াসেই রক্ত দান করতে পারেন। এতে রক্তাদাতার শারীরিক ক্ষতির কোনো আশঙ্কা তো নেই; বরং তা রক্তদাতার শারীরিক সুস্থতাকেই বাড়িয়ে তোলে।
