নেদারল্যান্ডসে শনাক্ত নতুন এমপক্স ভ্যারিয়েন্ট
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ২০:৩৯, ২২ অক্টোবর ২০২৫

নেদারল্যান্ডসে প্রথমবারের মতো শনাক্ত হয়েছে এমপক্স ভাইরাসের নতুন ও আরও সংক্রামক ধরন ‘ভ্যারিয়েন্ট ১বি’। দেশটির স্বাস্থ্য, কল্যাণ ও ক্রীড়া মন্ত্রী জান অ্যান্থনি ব্রুইন জানিয়েছেন, ১৭ অক্টোবর শনাক্ত এ সংক্রমণই ইউরোপে নতুন ভ্যারিয়েন্টটির প্রথম রেকর্ড করা হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, “এটি নেদারল্যান্ডসে প্রথমবার শনাক্ত হওয়া নতুন এমপক্স ভ্যারিয়েন্ট। বিষয়টি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে ইউরোপীয় রোগ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র (ইসিডিসি) এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।”
দেশটির জাতীয় জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট (আরআইভিএম) জানিয়েছে, আক্রান্ত ব্যক্তি এমপক্সের টিকা নেননি এবং সম্প্রতি বিদেশ ভ্রমণও করেননি। তাকে বর্তমানে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে এবং স্থানীয় জনস্বাস্থ্য বিভাগ তার সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের খুঁজে বের করতে কাজ করছে।
মন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, “এ মুহূর্তে নতুন ভ্যারিয়েন্টের বিস্তারের ঝুঁকি তুলনামূলকভাবে কম বলে ধারণা করা হচ্ছে।”
এমপক্স কীভাবে ছড়ায়
এমপক্স (আগে যার নাম ছিল মাংকিপক্স) মূলত ত্বকের সংস্পর্শের মাধ্যমে ছড়ায়। আক্রান্ত ব্যক্তির শরীরে ফুসকুড়ি বা ক্ষত স্পর্শ করলে, মুখোমুখি দীর্ঘক্ষণ কথা বললে বা ঘনিষ্ঠ শারীরিক সংস্পর্শে এলে সংক্রমণের আশঙ্কা থাকে।
সংক্রমণের লক্ষণ হিসেবে জ্বর, গলা ব্যথা, পেশি ও পিঠে ব্যথা, ফোলা লিম্ফ নোড, ক্লান্তি এবং চামড়ায় ফুসকুড়ি দেখা দেয়।
বিশেষজ্ঞদের মতে, একাধিক যৌনসঙ্গী থাকা ব্যক্তিরা বেশি ঝুঁকিতে থাকেন। এছাড়া দূষিত কাপড়, বিছানার চাদর বা সূঁচ ব্যবহারের মাধ্যমেও সংক্রমণ ঘটতে পারে। গর্ভাবস্থায় এমপক্সে আক্রান্ত হলে শিশুর জীবনঝুঁকি তৈরি হয়।
এমপক্স ভাইরাস প্রাণী থেকে মানুষের শরীরে আসতে পারে কামড়, আঁচড় বা সংক্রমিত প্রাণীর মাংস প্রস্তুতের সময় সংস্পর্শে আসার মাধ্যমে। এখনো পর্যন্ত ভাইরাসটির প্রকৃত উৎস (শনাক্ত হয়নি বলে জানিয়েছে গবেষকরা।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সতর্ক করেছে, এমপক্স সংক্রমণের ধরন, বিস্তারও বিভিন্ন দেশে এর জেনেটিক রূপান্তর নিয়ে আরও গবেষণা প্রয়োজন। ইউরোপে ভ্যারিয়েন্ট ১বি শনাক্ত হওয়ায় এখনই নজরদারি জোরদারের পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।