ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে বাংলাদেশ ‘মূল অংশীদার’: ইইউ
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২১:২৫, ২২ অক্টোবর ২০২৫ | আপডেট: ২১:৪০, ২২ অক্টোবর ২০২৫

ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। ছবি: সংগৃহীত
ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে তাদের সম্পৃক্ততা জোরদারের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করে বাংলাদেশকে বঙ্গোপসাগর ও বৃহত্তর ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে একটি ‘মূল অংশীদার (key partner)’ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।
বুধবার ঢাকায় ইইউ মিশনের পাঠানো এক বার্তায় বলা হয়, ক্রমবর্ধমান নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জের প্রেক্ষাপটে ইইউ এই অঞ্চলে রাজনৈতিক উপস্থিতি, সহযোগিতা এবং কৌশলগত সংলাপ আরও গভীর করবে।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের কাউন্সিল কর্তৃক গৃহীত নতুন নীতি বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে— ইন্দো-প্যাসিফিক ও ইউরোপীয় অঞ্চল এখন জটিল নিরাপত্তা পরিস্থিতির মুখোমুখি। তাই স্থিতিশীলতা, সমৃদ্ধি, গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও আন্তর্জাতিক আইন রক্ষার লক্ষ্যে ইইউ এই অঞ্চলে তাদের কার্যক্রম আরও বিস্তৃত করবে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ইইউর ভৌগোলিক উপস্থিতি এবং তার বিদেশি অঞ্চলগুলো ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে একটি বিশ্বস্ত অংশীদার হিসেবে ইউরোপীয় ভূমিকা সুদৃঢ় করছে।
২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে গৃহীত ইইউর ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশলের ধারাবাহিকতায়, আগামী ২০–২১ নভেম্বর ব্রাসেলসে অনুষ্ঠিত হবে চতুর্থ ইইউ–ইন্দো-প্যাসিফিক মন্ত্রী পর্যায়ের ফোরাম। এতে কৌশলগত সংলাপ ও বহুমাত্রিক সহযোগিতা জোরদারের পরিকল্পনা নেওয়া হবে।
এই নথিতে সবুজ ও ডিজিটাল রূপান্তর, বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক নিরাপত্তা, এবং নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা খাতে অংশীদারত্বকে প্রধান ক্ষেত্র হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
ইইউ পরিষদ আফগানিস্তান ও মিয়ানমারের চলমান পরিস্থিতি নিয়ে গভীর উদ্বেগ জানিয়েছে। পাশাপাশি, দ্বি-রাষ্ট্রভিত্তিক সমাধানের মাধ্যমে মধ্যপ্রাচ্যে স্থায়ী শান্তির প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছে।
বঙ্গোপসাগর ও ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে বাংলাদেশের কৌশলগত অবস্থান ও সক্রিয় নীতিনির্ধারণকে ইইউ ‘গুরুত্বপূর্ণ উপাদান’ হিসেবে বর্ণনা করেছে। তাদের মতে, ইন্দো-প্যাসিফিক ফোরাম ভবিষ্যতে আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা ও সহযোগিতার নতুন ভিত্তি স্থাপন করবে, যেখানে বাংলাদেশ হবে একটি কেন্দ্রীয় অংশীদার রাষ্ট্র।