দূর্ঘটনার কবলে ভারতের প্রেসিডেন্ট মুর্মুর হেলিকপ্টার
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ১৪:০৭, ২২ অক্টোবর ২০২৫

কেরালায় অল্পের জন্য বড় দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেলেন ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। ছবি: সংগৃহীত
কেরালায় অল্পের জন্য বড় দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেলেন ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। বুধবার (২২ অক্টোবর) সকালে শবরীমালা মন্দির সফর শেষে পাঠানমথিত্তার রাজীব গান্ধী স্টেডিয়ামে তার হেলিকপ্টার অবতরণের সময় হেলিপ্যাডের একাংশ ভেঙে পড়ে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাষ্ট্রপতিকে বহনকারী হেলিকপ্টারটির চাকা মাটিতে ছোঁয়া মাত্রই নবনির্মিত কংক্রিট হেলিপ্যাডের নিচের অংশ ধসে পড়ে। এ সময় হেলিকপ্টারটি একদিকে হেলে যায়। সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ ও দমকল সদস্যরা দৌড়ে এসে বিমানটিকে টেনে নিরাপদে সরিয়ে নেন।
স্থানীয় প্রশাসনের বরাত দিয়ে পিটিআই জানিয়েছে, শেষ মুহূর্তে অবতরণের স্থান হিসেবে বেছে নেওয়া হয় পাঠানমথিত্তা স্টেডিয়ামকে। মঙ্গলবার গভীর রাত পর্যন্ত সেখানে তড়িঘড়ি করে হেলিপ্যাড নির্মাণ করা হয়। কর্মকর্তারা বলেন, “কংক্রিট পুরোপুরি শক্ত না হওয়ায় এটি হেলিকপ্টারের ওজন সহ্য করতে পারেনি।”
ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, অবতরণের পর হেলিকপ্টারটি এক পাশে কাত হয়ে পড়ে। মাঠে উপস্থিত পুলিশ ও দমকল সদস্যরা দড়ি টেনে হেলিকপ্টারটিকে তুলতে চেষ্টা করেন। পরে সম্মিলিতভাবে সেটি নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়।
মূলত রাষ্ট্রপতির হেলিকপ্টারটি পাম্বার কাছাকাছি নীলাক্কালে অবতরণের কথা ছিল। কিন্তু প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে শেষ মুহূর্তে বিকল্প হিসেবে পাঠানমথিত্তা স্টেডিয়ামকে বেছে নেওয়া হয়। কর্মকর্তাদের মতে, নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার পরপরই অবতরণের ব্যবস্থা করায় কংক্রিট সম্পূর্ণ শক্ত হয়নি। ফলে অবতরণের চাপেই ফাটল ধরে ও পৃষ্ঠ ভেঙে পড়ে।
দ্রৌপদী মুর্মু বর্তমানে দক্ষিণ ভারতের চার দিনের সফরে আছেন। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তিনি তিরুবনন্তপুরমে পৌঁছান এবং পরদিন পাঠানমথিত্তায় যান। রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, বুধবার তিনি শবরীমালা মন্দিরে দর্শন ও আরতিতে অংশ নেন।
ঘটনার ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছে। তাতে দেখা যায়, হেলিপ্যাডের একাংশ ধসে পড়ায় হেলিকপ্টারের এক পাশ নিচে ঢলে যায়। নিরাপত্তাকর্মীরা দ্রুত হস্তক্ষেপ করে সেটি স্থিতিশীল করেন। সৌভাগ্যক্রমে কেউ আহত হননি।
কেরালা রাজ্য প্রশাসন ইতিমধ্যে ঘটনাটি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। বিশেষজ্ঞদের ধারণা, অসম্পূর্ণ কংক্রিট স্ল্যাব এবং ভারী বৃষ্টির কারণে মাটির নিচে জলাধার নরম হয়ে পড়েছিল, যা দুর্ঘটনার মূল কারণ হতে পারে।