বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৫

| ৮ কার্তিক ১৪৩২

দলীয় নেতৃত্ব ছাড়লেন পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক 

প্রকাশ: ১৮:৩৩, ২২ অক্টোবর ২০২৫ | আপডেট: ০৩:৩২, ২৩ অক্টোবর ২০২৫

দলীয় নেতৃত্ব ছাড়লেন পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রা

থাইল্যান্ডের রাজনীতিতে এক যুগান্তকারী মোড়—দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও ফিউ থাই পার্টির নেতা পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রা দলীয় নেতৃত্ব থেকে পদত্যাগ করেছেন। বুধবার (২২ অক্টোবর) প্রকাশিত এক বিবৃতিতে তার পদত্যাগের খবর নিশ্চিত করেছে ফিউ থাই পার্টি।

মাত্র এক বছরেরও কম সময়ের জন্য প্রধানমন্ত্রী থাকা ৩৯ বছর বয়সী এই রাজনীতিককে গত আগস্টে আদালতের আদেশে পদচ্যুত করা হয়। কম্বোডিয়ার সঙ্গে সীমান্ত বিরোধ নিষ্পত্তির সময় ‘নীতিগত লঙ্ঘনের’ অভিযোগেই আদালত তার বিরুদ্ধে এ নির্দেশ দেয়।

দলের পক্ষ থেকে প্রকাশিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, পেতংতার্নের পদত্যাগ দলটির জন্য একটি ‘সম্পূর্ণ পুনর্গঠনের সুযোগ’ এনে দিয়েছে।

বিবৃতিতে পেতংতার্ন বলেন, ‘আমার পদত্যাগ দলের ভবিষ্যৎকে আরও শক্তিশালী করবে। আমি বিশ্বাস করি, ফিউ থাই পার্টি নতুন নেতৃত্বে আরও ঐক্যবদ্ধ হয়ে পরবর্তী নির্বাচনে জয়ের পথে এগিয়ে যাবে।’

তবে তিনি স্পষ্ট করে জানিয়েছেন, রাজনীতি থেকে সরে যাচ্ছেন না।

পেতংতার্ন বলেন, ‘আমি এখনও দলের একজন সদস্য এবং থাইল্যান্ডের জন্য কাজ চালিয়ে যাব।’

ফিউ থাই পার্টির নেতৃত্বের কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে গত দুই দশক ধরে সিনাওয়াত্রা পরিবার থাইল্যান্ডের রাজনীতিতে প্রভাব বিস্তার করে এসেছে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রা, যিনি পেতংতার্নের পিতা, বর্তমানে দুর্নীতির মামলায় কারাভোগ করছেন।

রাজনীতি বিশ্লেষকরা বলছেন, পেতংতার্নের পদত্যাগ থাই রাজনীতিতে সিনাওয়াত্রা পরিবারের প্রভাব কমার সূচক হতে পারে। তবে ‘ফিউ থাই পার্টি আসলেই পরিবারতন্ত্র থেকে মুক্ত হতে পারবে কি না, তা নিয়ে এখনো সংশয় রয়েছে।’

সুখোথাই থাম্মাথিরাত ওপেন ইউনিভার্সিটির রাজনীতি বিশেষজ্ঞ ইউত্তাপর্ন ইসারাচাই বলেন, ‘দলীয় নেতৃত্বে কে আছেন, তা মুখ্য নয়। ফিউ থাই বহু বছর ধরে সিনাওয়াত্রা পরিবারের পরোক্ষ প্রভাবেই চলছে। সম্ভবত সেই ছায়া এখনও থাকবে।’

তিনি আরও মনে করেন, আদালতের রায় ও রাজনৈতিক চাপ থেকে দলকে রক্ষার কৌশল হিসেবেই পেতংতার্নের পদত্যাগ এসেছে।

সম্পর্কিত বিষয়:

আরও পড়ুন