বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৫

| ৮ কার্তিক ১৪৩২

গাজায় বিদেশি সাংবাদিকদের প্রবেশের দাবিতে ইসরায়েলের আদালতে শুনানি 

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ: ১৪:০৫, ২৩ অক্টোবর ২০২৫

গাজায় বিদেশি সাংবাদিকদের প্রবেশের দাবিতে ইসরায়েলের আদালতে শুনানি 

গাজায় বিদেশি সাংবাদিকদের প্রবেশের দাবি। ছবি: সংগৃহীত

গাজায় বিদেশি সাংবাদিকদের প্রবেশের দাবিতে ইসরায়েলের আদালতে শুনানি শুরু হচ্ছে আজ বৃহস্পতিবার। ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে কার্যরত আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলোর প্রতিনিধিত্বকারী সংগঠন ফরেন প্রেস অ্যাসোসিয়েশন (এফপিএ) এর দাবির প্রেক্ষিতেই এই শুনানি হতে যাচ্ছে। তাদের দাবি, বিদেশি সাংবাদিকদের যেন গাজায় স্বাধীনভাবে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়।

২০২৩ সালের অক্টোবরে গাজা যুদ্ধ শুরুর পর থেকে ইসরায়েল বিদেশি সাংবাদিকদের ওই বিধ্বস্ত অঞ্চলে প্রবেশে বাধা দিয়ে আসছে। কেবলমাত্র কিছু নির্দিষ্ট সাংবাদিককে সেনাদের সঙ্গে সীমিত, নিয়ন্ত্রিত সফরে সেখানে নেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা (স্থানীয় সময়) বা ০৬০০ জিএমটিতে নির্ধারিত শুনানিতে আদালত এফপিএর দায়ের করা আবেদনটি বিবেচনা করবে।
এফপিএ বুধবার এক বিবৃতিতে জানায়, “দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে ইসরায়েল বিদেশি সাংবাদিকদের প্রবেশে বাধা দিচ্ছে, ফলে এই ভয়াবহ যুদ্ধের সংবাদ কভারেজ মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে।”

সংগঠনটির চেয়ারম্যান তানিয়া ক্রেমার বলেন, “আমরা অবশেষে আদালতে আমাদের বক্তব্য রাখার সুযোগ পাচ্ছি। আশা করি বিচারপতিরা দ্রুতই আমাদের আবেদন মঞ্জুর করবেন। এখনই সময় ইসরায়েলে এই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার এবং আমাদের কাজ করতে দেওয়ার।”

এফপিএর সঙ্গে যুক্ত রয়েছে রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারস (আরএসএফ) নামের আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম পর্যবেক্ষক সংস্থা। আরএসএফও এ আবেদনে যুক্ত হয়েছে।

আরএসএফের অ্যাডভোকেসি ও অ্যাসিস্ট্যান্স ডিরেক্টর আন্তোয়ান বার্নার্ড মঙ্গলবার জানান, “ইসরায়েলি বাহিনী ইতিমধ্যে গাজায় ২১০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি সাংবাদিককে হত্যা করেছে। এটা গণমাধ্যমের স্বাধীনতা এবং জনগণের নির্ভরযোগ্য, স্বাধীন ও বহুমাত্রিক সংবাদ পাওয়ার অধিকারের এক নজিরবিহীন লঙ্ঘন।”

তিনি আরও বলেন, “সুপ্রিম কোর্টের সামনে এখন সুযোগ এসেছে গণতন্ত্রের মৌলিক নীতিগুলো রক্ষা করার — প্রচার, বিভ্রান্তি ও সেন্সরশিপের বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর। কোনো অজুহাতেই গাজা অঞ্চলকে আন্তর্জাতিক, ইসরায়েলি ও ফিলিস্তিনি সংবাদমাধ্যমের কাছ থেকে বন্ধ রাখা ন্যায্য নয়।”

উল্লেখযোগ্যভাবে, এফপিএর পরিচালনা পর্ষদে এএফপি–এরও একজন সাংবাদিক রয়েছেন।

এ সম্পর্কিত খবর

আরও পড়ুন