বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৫

| ৮ কার্তিক ১৪৩২

আরপিও সংশোধন

ফিরছে ‘না’ ভোট, কঠোর হচ্ছে প্রার্থিতা ও নির্বাচনি নিয়ম

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৮:২২, ২৩ অক্টোবর ২০২৫ | আপডেট: ১৮:২৪, ২৩ অক্টোবর ২০২৫

ফিরছে ‘না’ ভোট, কঠোর হচ্ছে প্রার্থিতা ও নির্বাচনি নিয়ম

সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি জানান আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল। ছবি: সংগৃহীত

নির্বাচনি স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি বাড়াতে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে (আরপিও) বড় ধরনের সংশোধনের অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ। বৃহস্পতিবার (২২ অক্টোবর) প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

বিকালে এক সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি জানান আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল।

আইন উপদেষ্টা জানান, নতুন সংশোধনে ইভিএম  ব্যবহারের বিধান বাতিল করা হয়েছে। পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সংজ্ঞায় সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

প্রার্থীদের জন্য নতুনভাবে যুক্ত হয়েছে স্বচ্ছতার বাধ্যবাধকতা— “যারা নির্বাচন করবেন, তাদের দেশি ও বিদেশি আয়ের উৎস ও সম্পত্তির পূর্ণ বিবরণ নির্বাচন কমিশনে জমা দিতে হবে। এসব তথ্য ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে,” বলেন আসিফ নজরুল।

‘না’ ভোটের বিধান ফিরল

২০০৮ সালের পর বাদ পড়া ‘না’ ভোট এবার ফিরছে। আইন উপদেষ্টা বলেন—“যদি কোনো নির্বাচনি আসনে মাত্র একজন প্রার্থী থাকেন, ভোটাররা সেখানে ‘না’ ভোট দিতে পারবেন। যদি ‘না’ ভোটের সংখ্যা বেশি হয়, তাহলে ঐ আসনে পুনঃনির্বাচন হবে।”

তিনি উল্লেখ করেন, “২০১৪ সালের নির্বাচনে যেমন ১৫৪ জন বিনা ভোটে নির্বাচিত হয়েছিলেন, সে ধরনের পরিস্থিতি আর থাকবে না।”

জামানত, দান ও প্রচারে নতুন শৃঙ্খলা

প্রার্থিতা জমা দেওয়ার জামানতের পরিমাণ ২০ হাজার থেকে বাড়িয়ে ৫০ হাজার টাকা করা হয়েছে। রাজনৈতিক দলকে দেওয়া ৫০ হাজার টাকার বেশি অনুদান বা চাঁদা এখন থেকে ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমেই দিতে হবে, এবং দাতাকে আয়কর রিটার্ন জমা দিতে হবে।

নির্বাচন কমিশনের বাড়তি ক্ষমতা
আগে শুধুমাত্র নির্দিষ্ট ভোটকেন্দ্রের ফলাফল বাতিলের ক্ষমতা ছিল নির্বাচন কমিশনের। এখন থেকে যদি পুরো নির্বাচনি এলাকায় ব্যাপক অনিয়ম প্রমাণিত হয়, নির্বাচন কমিশন পুরো এলাকার ভোট বাতিল করতে পারবে।

গণমাধ্যম ও কর্মকর্তাদের ভোটাধিকার
সংশোধিত আইনে গণমাধ্যমের কর্মীরা ভোট গণনার স্থানে উপস্থিত থাকতে পারবেন, যা স্বচ্ছতা নিশ্চিত করবে।
এছাড়া নির্বাচনি কাজে নিয়োজিত কর্মকর্তা-কর্মচারী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা এবার পোস্টাল ব্যালটে ভোট দিতে পারবেন।

জোটগত নির্বাচনে দলীয় প্রতীক বাধ্যতামূলক

রাজনৈতিক জোট হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিলে এখন থেকে জোটের অন্তর্ভুক্ত দলীয় প্রতীকেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হবে, যাতে ভোটাররা সহজে দলীয় পরিচয় বুঝতে পারেন।

এ সম্পর্কিত খবর

আরও পড়ুন