উপদেষ্টা পরিষদের সিদ্ধান্ত
জোটের প্রার্থী হলেও নিজ দলের প্রতীকে নির্বাচন করতে হবে
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২০:৩৯, ২৩ অক্টোবর ২০২৫

রাজধানীর বেইলি রোডের ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল। ছবি: সংগৃহীত
এখন থেকে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে জোট গঠন করা গেলেও প্রার্থীদের নিজেদের দলের প্রতীকেই ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হবে। এমন বিধান যুক্ত করে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধনের খসড়া অনুমোদন দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ।
বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে ঢাকার তেজগাঁওয়ে তার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
পরে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে বৈঠকের সিদ্ধান্ত সম্পর্কে সাংবাদিকদের অবহিত করেন আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল ও প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
আইনে যুক্ত হলো তিন বাহিনী
অনুমোদিত খসড়ায় আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সংজ্ঞায় সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীকেও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। ফলে নির্বাচনে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরাও পুলিশের মতো ভোটকেন্দ্রে দায়িত্ব পালন করতে পারবেন। এ জন্য আলাদা কোনো নির্দেশনার প্রয়োজন হবে না।
আরপিও সংশোধনের নতুন দিকগুলো
ব্রিফিংয়ে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেন, “যদি নির্বাচনী জোট হয়, তবুও প্রার্থীদের নিজ দলের প্রতীকেই নির্বাচন করতে হবে। ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহারের বিধান বিলুপ্ত করা হয়েছে। এছাড়া কোনো মামলায় পলাতক ব্যক্তিরা নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না—এই শর্তও যুক্ত করা হয়েছে।”
তিনি আরও জানান, প্রার্থীদের অ্যাফিডেভিটের মাধ্যমে দেশি-বিদেশি সব আয় ও সম্পত্তির বিবরণ দিতে হবে, যা অনলাইনে প্রকাশ করা হবে। এছাড়া প্রার্থীদের জামানতের পরিমাণ ২০ হাজার থেকে বাড়িয়ে ৫০ হাজার টাকা করা হয়েছে।
‘না ভোট’ ও অনিয়মে ভোট বন্ধের ক্ষমতা
সংশোধিত আরপিওতে ‘না ভোট’ রাখার বিধানও যুক্ত হয়েছে। কোনো সংসদীয় আসনে একজন প্রার্থী থাকলেও ভোটাররা চাইলে ‘না’ ভোট দিতে পারবেন।
একই সঙ্গে কোনো সংসদীয় আসনে অনিয়ম হলে পুরো আসনের ভোট স্থগিত করার ক্ষমতা থাকবে নির্বাচন কমিশনের হাতে।