মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর ২০২৫

| ২৭ কার্তিক ১৪৩২

মালালার নতুন আত্মজীবনী

প্রেম, জীবন ও নিজের পথের গল্প 

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ: ১৩:৩২, ২৩ অক্টোবর ২০২৫ | আপডেট: ১৪:১৪, ২৩ অক্টোবর ২০২৫

প্রেম, জীবন ও নিজের পথের গল্প 

নোবেল শান্তি পুরস্কারজয়ী মালালা ইউসুফজাইয়ের নতুন আত্মজীবনী বই “ফাইন্ডিং মাই ওয়ে”।ছবি: সংগৃহীত

নোবেল শান্তি পুরস্কারজয়ী মালালা ইউসুফজাই তার নতুন আত্মজীবনী “ফাইন্ডিং মাই ওয়ে” তেএ নিজের ব্যক্তিগত জীবন ও মানসিক বিকাশ নিয়ে খোলামেলা আলোচনা করেছেন।

২৮ বছর বয়সী এই শিক্ষা অধিকারকর্মী এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, বইটির খোলামেলা বিষয়বস্তু নিয়ে তার বাবা-মায়ের কিছু আপত্তি ছিল—বিশেষত মায়ের, কারণ বইটিতে তিনি অনেক ব্যক্তিগত বিষয় প্রকাশ করেছেন। 

মালালা বলেন,“আমি জানতাম, আমি যা লিখেছি তা নিয়ে আমার বাবা-মায়ের অনেক মতামত থাকবে—বিশেষ করে মা হয়তো রাগ করবেন। কিন্তু আমার কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ছিল, বইটি যেন সত্যিই আমার অনুভূতি ও ভাবনাগুলো প্রতিফলিত করে।”

বইটিতে মূলত তিনি অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার সময়ের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেছেন—যেখানে তিনি মেয়েদের শিক্ষার পক্ষে তার আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি সাধারণ জীবনের স্বাভাবিকতা খুঁজে পেতে চেয়েছিলেন। এতে রয়েছে পোস্ট-ট্রমাটিক স্ট্রেস ডিসঅর্ডার নিয়ে তার সংগ্রামের কথাও।

তিনি আরও লিখেছেন স্বামী আসার মালিকের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে। যাকে তিনি ২০২১ সালে বিয়ে করেন। মালালার ভাষায়, এই বই তার জীবনের নতুন এক অধ্যায়, যেখানে তিনি আর শুধু “বিশ্ব প্রতীকের” ভূমিকা নয়, বরং নিজের মতো করে জীবন সংজ্ঞায়িত করতে চাওয়া এক নারীর পরিচয় তুলে ধরেছেন।

বইয়ের এক অধ্যায়ে তিনি স্মরণ করেছেন ২০২১ সালের ব্রিটিশ ভোগ-এর সাক্ষাৎকারের বিতর্ক, যেখানে বিয়ের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে তার মন্তব্য পাকিস্তানে ও পরিবারে সমালোচনার ঝড় তোলে। মালালা জানিয়েছেন, তখন তিনি আসারের সঙ্গে গোপনে সম্পর্কে ছিলেন এবং প্রশ্নটির উত্তরে দ্বিধায় পড়েছিলেন—ফলে তার বক্তব্য ভুলভাবে “বিবাহ বিরোধী” হিসেবে ব্যাখ্যা করা হয়।

তিনি বইয়ে লিখেছেন তাদের গোপন সম্পর্কের ছোট ছোট গল্প—যেমন এক ডিনার ডেটে শালওয়ার কামিজ খুলে মাঝরাতে গোলাপি পোশাক ও হাই-হিল পরে নেওয়া, কিংবা হাতে হাত রেখে হাঁটার সময় ফটোগ্রাফারদের এড়াতে গাছের আড়ালে লুকিয়ে পড়া।

আরেক জায়গায় তিনি বলেছেন, অক্সফোর্ডে জিন্স পরায় তাকে সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছিল—কীভাবে তার প্রতিটি ছোট সিদ্ধান্তকেও অনেকে নজরে রাখতেন।

বইটির শেষ অধ্যায়ে মালালা বর্ণনা করেছেন পাকিস্তানের শাংলা জেলায় তার সাম্প্রতিক সফরের অভিজ্ঞতা, যেখানে তিনি একটি মেয়েদের স্কুল উদ্বোধন করেন—যেখানে মানসিক স্বাস্থ্য সহায়তাও দেওয়া হয়। তিনি পিপল ম্যাগাজিনকে বলেন,“মেয়েদের শিক্ষার জন্য আমি যা করছি, সেটিই আমার জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ।”

এ সম্পর্কিত খবর

আরও পড়ুন

শীর্ষ সংবাদ:

সম্পদের হিসাব না দেওয়ার মামলায় খালাস পেলেন ইটিভি চেয়ারম্যান
জামায়াতের দিকে আঙুল তুললেন মির্জা ফখরুল
ঢাবি মৃৎশিল্প বিভাগের বার্ষিক শিল্পকর্ম প্রদর্শনী শুরু
গুলশান লেকে ছাত্রদল কর্মীকে কুপিয়ে হত্যা
ওড়িশি নৃত্যালেখ্য ও নৃত্যকলার অনবদ্য পরিবেশনায় বিমুগ্ধ দর্শক
রাস্তার পাশে জ্বালানি তেল বিক্রি নিয়ে যা বললেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্ট
ট্রাম্পের হুমকি: বিবিসির বিরুদ্ধে ১০০ কোটি ডলারের ক্ষতিপূরণ মামলা
আচরণবিধি ভাঙলে প্রার্থিতা বাতিল, গেজেট প্রকাশ ইসির
সশস্ত্র বাহিনীর ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা আরও সাড়ে ৪ মাস বাড়ল
রোহিঙ্গাদের মাঝে বৈধ সিম বিতরণ শুরু, প্রথম ধাপে ১০ হাজার
ইসলামী ৮ দলের যৌথ সমাবেশ : পাঁচ দফা দাবিতে পল্টন মোড়ে নেতাকর্মীরা
দুই ঘণ্টা পর ময়মনসিংহ-নেত্রকোনা ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক
ছাত্রলীগ নেতাকে অপহরণে আপ এর দায় স্বীকার, ৩ কর্মী বহিষ্কার
ফেব্রয়ারির কবে নির্বাচন, জানালেন প্রেস সচিব
নায়ক নয়, সবাই আমাকে প্রোডাক্ট বানিয়েছিল:প্রসেনজিৎ
ভারতের নারী ক্রিকেট দলে প্রথম বিদেশি ফিটনেস কোচ!
বুকার পুরস্কার জিতলেন হাঙ্গেরীয়-ব্রিটিশ লেখক ডেভিড সা-লাই
জুলাই সনদের বাইরে সরকারের সিদ্ধান্তের দায় নেবে না বিএনপি
১৩ নভেম্বর ঘিরে শক্ত অবস্থানে সরকার
শীতের আমেজ: আরও দুই ডিগ্রি নামার আশঙ্কা