বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৫

| ৮ কার্তিক ১৪৩২

‘টপ অ্যাগ্রি-ফুড পাইওনিয়ার-২০২৫’ পুরস্কার পেলেন আবদুল আউয়াল মিন্টু

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৭:৩৭, ২৩ অক্টোবর ২০২৫ | আপডেট: ২২:১৬, ২৩ অক্টোবর ২০২৫

‘টপ অ্যাগ্রি-ফুড পাইওনিয়ার-২০২৫’ পুরস্কার পেলেন আবদুল আউয়াল মিন্টু

বিশিষ্ট উদ্যোক্তা আবদুল আউয়াল মিন্টু। ছবি: সংগৃহীত

খাদ্য ও কৃষিতে নোবেলখ্যাত বিশ্বের অন্যতম সম্মানজনক পুরস্কার ওয়ার্ল্ড ফুড প্রাইজ ফাউন্ডেশনের (ডব্লিউএফপিএফ) ‘টপ এগ্রি ফুড পাইওনিয়ার’ সম্মাননা অর্জন করেছেন বাংলাদেশের বিশিষ্ট উদ্যোক্তা আবদুল আউয়াল মিন্টু।

বুধবার (২২ অক্টোবর) রাতে যুক্তরাষ্ট্রের আইওয়া রাজ্যের রাজধানী ডেস ময়েন্সেে আয়োজিত ‘বোরলগ ডায়ালগ’ সম্মেলনে আবদুল আউয়াল মিন্টুর হাতে এই পুরস্কার তুলে দেন ডব্লিউএফপিএফ’র সভাপতি মাশাল হুসেইন ও প্রধান নির্বাহী গভর্নর টমাস জে. ভিলসাক।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিশ্বব্যাপী খাদ্য নিরাপত্তা ও টেকসই কৃষি উন্নয়নে দীর্ঘ কয়েক দশকের অবদান ও উদ্ভাবনের স্বীকৃতিস্বরূপ এই পুরস্কার দেওয়া হয়। এ বছর ডব্লিউএফপিএফ বিশ্বের ২৭টি দেশের ৩৯ জনকে ‘টপ অ্যাগ্রি ফুড পাইওনিয়ার’ হিসেবে সম্মাননা দিয়েছে। বাংলাদেশ থেকে এই পুরস্কার অর্জন করেছেন ‘লাল তীর সিডস লিমিটেড’ ও ‘লাল তীর লাইভস্টক লিমিটেড’–এর চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী আবদুল আউয়াল মিন্টু। দুটি প্রতিষ্ঠানই মাল্টিমোড গ্রুপের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান, যার যাত্রা শুরু হয়েছিল ১৯৮১ সালে।

সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে জানানো হয়, নব্বইয়ের দশকে বাংলাদেশ নিম্নমানের বীজ উৎপাদন ও কৃষিক্ষেত্রে উৎপাদনশীলতা হ্রাসের সংকটে পড়েছিল। তখনই মিন্টুর নেতৃত্বে লাল তীর সিড লিমিটেড দেশে প্রথম গবেষণাভিত্তিক বীজ কোম্পানি হিসেবে যাত্রা শুরু করে। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটি দেশের মোট বীজের চাহিদার প্রায় ২০ শতাংশ সরবরাহ করে এবং দেড় কোটির বেশি কৃষক লাল তীরের বীজ ব্যবহার করছেন। পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানটি এখন ইউরোপ, উত্তর আমেরিকা, মধ্যপ্রাচ্য, দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বাজারে বীজ রপ্তানি করছে।

পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে ডব্লিউএফপিএফ সভাপতি মাশাল হুসেইন বলেন, “২০২৫ সালের টপ এগ্রি ফুড পাইওনিয়ার তালিকা এমন সব অসাধারণ ব্যক্তিত্বের প্রতিফলন, যারা বৈশ্বিক খাদ্যব্যবস্থাকে আরও টেকসই ও ন্যায়ভিত্তিক করে তুলতে নিরলসভাবে কাজ করছেন।”

পুরস্কারপ্রাপ্তির প্রতিক্রিয়ায় আবদুল আউয়াল মিন্টু বলেন, “খাদ্য নিরাপত্তা শুরু হয় কৃষকদের ক্ষমতায়নের মাধ্যমে। আমাদের লক্ষ্য—কৃষকদের দারিদ্র্যের চক্র ভাঙতে প্রয়োজনীয় জ্ঞান ও উপকরণ সরবরাহ করা। ভবিষ্যতে জলবায়ু সহনশীল জাত উদ্ভাবনের মাধ্যমে কৃষকের উৎপাদন ও মানুষের জীবনমান উন্নত করতে চাই।”

আরও পড়ুন