তিন দেশ থেকে ১০৫ টন সার আমদানির সিদ্ধান্ত
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৭:৫২, ২২ অক্টোবর ২০২৫

বাংলাদেশ সরকার কৃষিখাতের উৎপাদনশীলতা বজায় রাখতে ও আসন্ন বোরো মৌসুমের সার সংকট ঠেকাতে তিনটি দেশ থেকে মোট এক লাখ পাঁচ হাজার মেট্রিক টন সার আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বুধবার (২২ অক্টোবর ২০২৫) সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে এই অনুমোদন দেওয়া হয়।
মোট ৬৬৪ কোটি ৪০ লাখ ৯৮ হাজার ৪৪০ টাকায় ইউরিয়া, ডিএপি ও এমওপি সার কেনা হবে—যা আসন্ন অর্থবছরের কৃষি উৎপাদনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।
শিল্প মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে সৌদি আরবের সাবিক অ্যাগ্রি-নিউট্রিয়েন্টস কোম্পানি থেকে ৩০ হাজার টন বাল্ক গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার আমদানির অনুমোদন পেয়েছে বাংলাদেশ।
প্রতি টনের মূল্য ৪১৩.৩৩ মার্কিন ডলার নির্ধারণ করা হয়েছে।এই হিসেবে ৩০ হাজার টনের মোট মূল্য ১ কোটি ২৩ লাখ ৯৯ হাজার ৯০০ মার্কিন ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১৫১ কোটি ৭৭ লাখ ৪৭ হাজার ৭৬০ টাকা।
চুক্তি অনুযায়ী ২০২৫-২৬ অর্থবছরে প্রতিষ্ঠানটি থেকে ধাপে ধাপে ৬ লাখ ৩০ হাজার টন ইউরিয়া সরবরাহ করবে সৌদি কোম্পানি—দেশীয় চাহিদা মেটানো ও সংকটকালীন মজুত বাড়ানোর লক্ষ্যে।
রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে মরক্কোর ওসিপি নিউট্রিক্রপস এবং বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন (বিএডিসি)-র নবায়িত চুক্তির আওতায় ৪০ হাজার টন ডিএপি সার আমদানির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বর্তমান আন্তর্জাতিক বাজারমূল্য অনুযায়ী এর মোট মূল্য ২ কোটি ৯৪ লাখ ১৩ হাজার ২০০ মার্কিন ডলার —বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৩৬০ কোটি ১ লাখ ৭৫ হাজার ৬৮০ টাকা।
চুক্তিটি গত ২ জুলাই নবায়ন করা হয় এবং এখন এটি কার্যকর হচ্ছে। এই সার মূলত বোরো ও আমন মৌসুমে কৃষি উৎপাদনের ভারসাম্য রক্ষায় ব্যবহৃত হবে।
এছাড়া রাশিয়ার জেএসসি ফরেন ইকনোমিক করপোরেশন থেকে ৩৫ হাজার মেট্রিক টন এমওপি সার আমদানির অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি।
মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১ কোটি ২৪ লাখ ৬৮ হাজার ৭৫০ মার্কিন ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১৫২ কোটি ৬১ লাখ ৭৫ হাজার টাকা।
বিদ্যমান রাষ্ট্রীয় চুক্তি নবায়নের মাধ্যমে এই সরবরাহ নিশ্চিত করা হয়েছে, যা মূলত পটাশিয়াম-ভিত্তিক ফসল উৎপাদনে ব্যবহৃত হবে।
একই বৈঠকে বরগুনায় ১০ হাজার মেট্রিক টন ধারণক্ষমতাসম্পন্ন একটি বাফার গোডাউন নির্মাণের প্রস্তাবও অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
এটি দক্ষিণাঞ্চলে সার সংরক্ষণ ও দ্রুত সরবরাহ ব্যবস্থাকে আধুনিক করতে ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।