বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৫

| ৮ কার্তিক ১৪৩২

হাসিনার বিচার না হলে জুলাই শহীদদের ওপর অবিচার করা হবে

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৪:২০, ২৩ অক্টোবর ২০২৫

হাসিনার বিচার না হলে জুলাই শহীদদের ওপর অবিচার করা হবে

ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: সংগৃহীত

অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বৃহস্পতিবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ বলেছেন, গণহত্যায় অভিযুক্ত শেখ হাসিনা ও আরও দুই আসামির বিচার না হলে ২০১৩ সালের জুলাই আন্দোলনে শহীদ ও প্রত্যাহতদের ওপর অবিচার করা হবে। প্রসিকিউশন শেষ যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে ট্রাইব্যুনাল রায়ের জন্য দিন ধার্য করবেন বলে জানায় আদালত।

আসাদুজ্জামান আরও বলেন, যারা দেশের বিরুদ্ধে কথা বলছেন, তাদের ন্যায়বিচারের মুখোমুখি হতে হবে  এবং ন্যায়বিচার ব্যতিরেকে দেশের ইতিহাসের মর্যাদা রক্ষা করা সম্ভব হবে না।

আটর্নি জেনারেল বলেন যে, তিনি আগে বিশ্বাস করতেন অভিযুক্তরা ন্যায়বিচারের মুখোমুখি হবে; তারা যদি সত্যিকারভাবে সাহসী হতেন, তাহলে দেশে এসে আদালতের সামনে নিজেদের সপর্ণ করতেন। প্রসিকিউশন দাবি করেছেন যে, উপস্থাপিত সাক্ষ্য ও প্রমাণ পর্যাপ্ত পরিসরের; আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে এভাবেই অপরাধ প্রমাণিত হলে যথোপযুক্ত শাস্তি নিশ্চিত করা উচিত। তিনি ন্যায়বিচার নিশ্চিতে সর্বোচ্চ সাজা প্রত্যাশার কথা উল্লেখ করেন।

ট্রাইব্যুনালের এক বিকৃতিতে বিচারকরা মন্তব্য করেন, “ন্যায়বিচার নিশ্চিত হবে; দুই পক্ষই যেকোনো মূল্যে ন্যায়বিচার পাবে।” প্রসিকিউশনের যুক্তিতর্ক সম্পন্ন হওয়ায় আদালত রায়ের জন্য দিন ধার্য করবেন বলে সংবাদপত্রে জানানো হয়েছে।

মামলায় পাল্টা সাক্ষ্য ও শতাধিক প্রমাণ উপস্থাপন করা হয়েছে; ওই সময়কালীন পুলিশ প্রত্যক্ষদর্শী, চিকিৎসক, শহীদ-আহত পরিবারসহ মোট ৫৪ জন সাক্ষ্য প্রদান করেন। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়—জুলাই গণহত্যা, নির্যাতন, গুম-খুন ও মানবাধিকারের লঙ্ঘন সহ বিভিন্ন অভিযোগ উঠে আসে। প্রসিকিউশনের বক্তব্যে বলা হয়েছে, তদন্ত ও উপস্থাপিত প্রমাণ আন্তর্জাতিক ন্যায্য বিচারের পর্যায়ে যথেষ্ট পরিমানে প্রতীয়মান হয়েছে।

এ সম্পর্কিত খবর

আরও পড়ুন