সাবজেলে ১৫ সেনা কর্মকর্তার থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা যেমন
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২:৩৫, ২৩ অক্টোবর ২০২৫ | আপডেট: ১২:৫২, ২৩ অক্টোবর ২০২৫

ছবি: সংগৃহীত
আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে গুম ও নির্যাতনের দুইটি মামলা এবং বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় রামপুরায় সংঘটিত অপরাধের একটি মামলায় অভিযুক্ত ১৫ জন সেনা কর্মকর্তাকে কারাগার থেকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে ঢাকা সেনানিবাসের সাবজেলে।
গত ১২ অক্টোবর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সেনানিবাসের বাশার রোডসংলগ্ন ‘এম ই এস বিল্ডিং নম্বর–৫৪’কে সাময়িকভাবে কারাগার হিসেবে ঘোষণা করা হয়। দুই দিন পর ১৪ অক্টোবর বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে।
কারা অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, সাবজেলটির তদারকির দায়িত্ব এখন ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার কর্তৃপক্ষের হাতে। নিরাপত্তা ও প্রশাসনিক কাজে ৩৫ জন কর্মকর্তাকে সেখানে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
খাবার ও দৈনন্দিন ব্যবস্থা
সূত্র জানিয়েছে, ১৫ জন কর্মকর্তার জন্য তিনবেলা খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে—
সকালে: রুটি ও সবজি
দুপুরে: ভাত, ডাল, সবজি এবং মাছ বা মাংস
রাতে: মাছ বা মাংস ও সবজি
বন্দিদের কক্ষে একটি বিছানা, টেবিল, চেয়ার, ফ্যান, একটি দৈনিক পত্রিকা ও চা পানের ব্যবস্থা রয়েছে। প্রতিটি কক্ষ এক ব্যক্তির জন্য নির্ধারিত।
ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার ও জেলার সাবজেলটির সামগ্রিক তদারকি করবেন। তিনজন ডেপুটি জেলার তিন শিফটে দায়িত্ব পালন করবেন; তবে তারা স্থায়ী নন, নির্দিষ্ট সময় পরপর পরিবর্তন করা হবে।
এআইজি (প্রিজন্স) জান্নাতুল ফরহাদ বলেন, “আমরা বুধবার আসামিদের পুলিশের কাছ থেকে বুঝে নিয়েছি। তারা এখন সাবজেলে আমাদের অধীনে আছেন। আদালতে হাজিরার সময় পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হবে এবং ফের আমাদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।”
কারা মহাপরিদর্শক (আইজি প্রিজন্স) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ মো. মোতাহের হোসেন জানান, সাবজেলে থাকা বন্দিরা ডিভিশনপ্রাপ্ত বন্দিদের মতোই সুবিধা পাবেন।
আসামিদের নামের তালিকা
সাবজেলে থাকা অভিযুক্ত কর্মকর্তারা হলেন—
- মেজর জেনারেল শেখ মো. সরওয়ার হোসেন
- গেডিয়ার জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম
- ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তোফায়েল মোস্তফা সারোয়ার
- ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. কামরুল হাসান
- ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাহাবুব আলম
- ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাহবুবুর রহমান সিদ্দিকী
- ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহমেদ তানভির মাজাহার সিদ্দিকী
- ব্রিগেডিয়ার কে এম আজাদ
- কর্নেল আবদুল্লাহ আল মোমেন
- কর্নেল আনোয়ার লতিফ খান (অবসর প্রস্তুতিমূলক ছুটিতে)
- লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মশিউর রহমান
- লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাইফুল ইসলাম সুমন
- লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. সারওয়ার বিন কাশেম
- লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ রেদোয়ানুল ইসলাম
- ও মেজর মো. রাফাত-বিন-আলম।