শুক্রবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৫

| ৮ কার্তিক ১৪৩২

চলচ্চিত্র পরিচালক সুধীর মিশ্র

নারী ও পুরুষের পারিশ্রমিকে বৈষম্য ঠিক নয় 

বিনোদন ডেস্ক

প্রকাশ: ২২:২৪, ২৩ অক্টোবর ২০২৫

নারী ও পুরুষের পারিশ্রমিকে বৈষম্য ঠিক নয় 

চলচ্চিত্র পরিচালক সুধীর মিশ্র। ছবি: সংগৃহীত

বলিউডে নারী ও পুরুষ তারকাদের পারিশ্রমিক বৈষম্য নিয়ে বিতর্ক নতুন নয়। কিন্তু এবার মুখ খুললেন বলিউডের প্রখ্যাত চলচ্চিত্র পরিচালক সুধীর মিশ্র। যিনি এক সাক্ষাৎকারে স্পষ্টভাবে জানালেন—“যদি কোনো নায়িকার চরিত্র ছবিতে পুরুষ সহঅভিনেতার সমান গুরুত্বের হয় এবং দু’জনেরই স্টার পাওয়ার এক পর্যায়ের হয়, তবে তাদের পারিশ্রমিকও সমান হওয়া উচিত।”

সুধীর মিশ্র বলেন, “সমতা মানে শুধুই সুযোগ নয়, আর্থিক মূল্যায়নেও ন্যায্যতা। যদি একজন নারী চরিত্র সিনেমার মেরুদণ্ড হয়, তবে তার পারিশ্রমিকও ও সেই অনুযায়ী হওয়া উচিত। বরং চরিত্র বড় হলে তার পারিশ্রমিকও বেশি হতে পারে।” তিনি বলেন, , “সিনেমায় সাধারণভাবে কেউ টাকা পায় না, বরং সবাই মুনাফার ভাগ নেয়। তবে পারিশ্রমিক নির্ভর করে কে বক্স অফিসে বেশি টানে তার উপর।”

পরিচালক উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করেন দীপিকা পাডুকোনের নাম। তার মতে, “দীপিকার স্টার পাওয়ার ও জনপ্রিয়তা আজকের দিনে অনেক পুরুষ অভিনেতার সমান। তিনি সঞ্জয় লীলা বনশালির অধিকাংশ ছবিতে মুখ্যচরিত্রে ছিলেন—তাই এখন সময় এসেছে তাকে সমান পারিশ্রমিক দেওয়ার।

তবে শাহরুখ খানকে তিনি ব্যতিক্রম হিসেবেই দেখেন। মিশ্র বলেন,—“এই আলোচনায় শাহরুখকে আলাদা রাখুন। ও কখনও বুড়ো হন না, সব সময় দর্শকের মনে নতুন উদ্দীপনা সৃষ্টি করে। ও এক অন্য স্তরের তারকা।”

সঞ্জয় লীলা বনশালির ‘রামলীলা’, ‘বাজিরাও মস্তানি’ ও ‘পদ্মাবত’—সব ছবিতেই দীপিকা ছিলেন কেন্দ্রে। জানা যায়, ‘পদ্মাবত’-এ তিনি রণবীর সিং ও শাহিদ কাপুরের চেয়ে বেশি পারিশ্রমিক পেয়েছিলেন। সম্প্রতি তাঁর ‘কল্কি ২’ ও ‘স্পিরিট’ প্রকল্প থেকে সরে দাঁড়ানো নিয়েও তুমুল আলোচনা চলছে। শোনা যাচ্ছে, এই সিদ্ধান্তের অন্যতম কারণ ছিল পারিশ্রমিকের অসমতা।

নিজের পরিচালিত ‘চামেলি’ ছবির উদাহরণ টেনে সুধীর বলেন, “ওই ছবিতে কারিনা কাপুরের চরিত্রই ছিল গল্পের কেন্দ্র। তাই তার পারিশ্রমিক রাহুল বোসের চেয়ে বেশি হওয়াই স্বাভাবিক ছিল।”

সুধীর মিশ্রার বক্তব্যে স্পষ্ট, বলিউডে পারিশ্রমিকের প্রশ্ন এখন শুধুই নায়িকাদের দাবির মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়—এটি শিল্পের একটি ন্যায়সংগত মূল্যায়নের বিষয়। এমন বক্তব্য হয়তো ভবিষ্যতে ভারতীয় চলচ্চিত্রে নারী শিল্পীদের কাজ, মর্যাদা এবং অর্থনৈতিক মূল্যায়নের ভারসাম্য পুনর্নির্মাণে নতুন দিগন্ত খুলে দিতে পারে।

এ সম্পর্কিত খবর

আরও পড়ুন