বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৫

| ৮ কার্তিক ১৪৩২

আলতাফ শাহনেওয়াজের নামে মামলার প্রস্তুতি

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৪:২৪, ২৩ অক্টোবর ২০২৫

আলতাফ শাহনেওয়াজের নামে মামলার প্রস্তুতি

আলতাফ শাহনেওয়াজ। ছবি: সংগৃহীত

শিক্ষানবিশ গ্রাফিক্স ডিজাইনার স্বর্ণময়ী বিশ্বাসের (২৮) মৃত্যুর ঘটনায় তদন্তের নতুন মোড়। আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে তার মরদেহের নমুনা ফরেনসিক ডিএনএ পরীক্ষায় পাঠানো হয়েছে—যেখানে যৌন নিপীড়নের আলামতসহ অন্যান্য বিষয়ও যাচাই করা হবে বলে জানিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

অন্যদিকে, নিহত স্বর্ণময়ীর পরিবার জানিয়েছেন, ইতোমধ্যে একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং আরেকটি মামলা করা হচ্ছে—অভিযুক্ত আলতাফ শাহনেওয়াজ ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে।

বুধবার (২২ অক্টোবর) নিহতের ভাই সৌরভ বিশ্বাস ও খালাতো ভাই সঞ্জয় অধিকারী জানান,“আমরা বোনের মৃত্যুকে স্বাভাবিক মনে করছি না। অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে, এখন আত্মহত্যায় প্ররোচনার মামলা করা হবে।”

সৌরভের বাবা-মা ঝিনাইদহ থেকে ঢাকায় এসে আনুষ্ঠানিকভাবে এ মামলা করবেন বলে জানিয়েছেন তারা।
স্বর্ণময়ী অনলাইন সংবাদমাধ্যম ‘ঢাকা স্ট্রিম’-এ শিক্ষানবিশ গ্রাফিক্স ডিজাইনার হিসেবে কাজ করতেন।

সাম্প্রতিক সময়ে প্রতিষ্ঠানটির বাংলা কনটেন্ট এডিটর আলতাফ শাহনেওয়াজের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ তোলেন তার কয়েকজন সহকর্মী—যার মধ্যে স্বর্ণময়ীও ছিলেন বলে জানা যায়।

গত শনিবার (১৮ অক্টোবর) সন্ধ্যায় রাজধানীর সোবহানবাগের বাসায় স্বর্ণময়ীকে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। প্রথমে স্থানীয় ক্লিনিকে নেওয়ার পর ধানমন্ডির পপুলার হাসপাতালে আনা হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এক সহকর্মী জানান, খবর শুনে অভিযুক্ত আলতাফ শাহনেওয়াজও হাসপাতালে উপস্থিত হয়েছিলেন, তবে পরে পুলিশ আসার আগেই তিনি স্থান ত্যাগ করেন।
শেরে বাংলা নগর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সাইফুল ইসলাম বলেন,“ময়নাতদন্তের পর স্বর্ণময়ীর ডিএনএ নমুনা ফরেনসিকে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট এলে জানা যাবে তিনি কোনো যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন কি না।”

তিনি আরও জানান, ভুক্তভোগীর পরিবার চাইলে একাধিক মামলা করতে পারেন—এ ব্যাপারে আইনি কোনো বাধা নেই।

খালাতো ভাই সঞ্জয় অধিকারী বলেন,“আমার বোন অফিসে ঝামেলার কথা বলেছিল, কিন্তু বিস্তারিত বলেনি। আমরা এখন ন্যায়বিচার চাই এবং যারা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে দায়ী, তাদের বিচারের দাবি জানাচ্ছি।”

ঢাকা স্ট্রিম কর্তৃপক্ষের ভূমিকা নিয়েও সোশ্যাল মিডিয়ায় সমালোচনা চলছে। অনেকেই অভিযোগ করেছেন, অভিযুক্ত আলতাফ শাহনেওয়াজকে দ্রুত বরখাস্ত না করে প্রতিষ্ঠানটি দীর্ঘদিন নীরব ছিল।

পরবর্তীতে অবশ্য প্রতিষ্ঠানটি এক বিবৃতিতে শাহনেওয়াজকে অব্যাহতি দিয়েছে বলে জানিয়েছে।

এ সম্পর্কিত খবর

আরও পড়ুন