শুক্রবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৫

| ৮ কার্তিক ১৪৩২

ফেসবুকে সারজিস আলম

৪৪তম বিসিএসে রিপিট ক্যাডার বিধি সংশোধনে সই করেছেন প্রধান উপদেষ্টা

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২০:০৬, ২৩ অক্টোবর ২০২৫ | আপডেট: ২১:১৬, ২৩ অক্টোবর ২০২৫

৪৪তম বিসিএসে রিপিট ক্যাডার বিধি সংশোধনে সই করেছেন প্রধান উপদেষ্টা

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস ৪৪তম বিসিএসের রিপিট ক্যাডার বিধি সংশোধনের ফাইলে স্বাক্ষর করেছেন। বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) দুপুর ১টার দিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক পোস্টে এ কথা জানান জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম।

পোস্টে সারজিস আলম লেখেন, ‘৪৪তম বিসিএস রিপিট ক্যাডার বিধি সংশোধনের ফাইল মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা আজ স্বাক্ষর করেছেন। এখন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে জারির ব্যবস্থা হবে।’

এর আগে গত মঙ্গলবার ৪৪তম বিসিএসের রিপিট ক্যাডারের বিধি সংশোধনের ফাইল ছেড়ে দেওয়ার জন্য প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিলেন সারজিস আলম।

সেদিন তিনি নিজের ফেসবুকে লেখেন, ‘৪৪তম বিসিএস রিপিট ক্যাডার বিধি সংশোধনের ফাইল চুড়ান্ত স্বাক্ষরের জন্য আজ বহুদিন যাবত প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে পড়ে আছে। কারণ জানি না। 

হ্যাঁ বা না বলে ফাইল ছেড়ে দিন প্লিজ। ফাইল সেখানে থাকা অবস্থায় প্রধান উপদেষ্টা মহোদয় দুইবার বিদেশ ঘুরে এলেন। কিন্তু ফাইল নড়ে না। 
এরচেয়ে দুর্ভাগ্য আর কিছু হতে পারে না। অথচ ছেলে মেয়েদের জীবন নির্ভর করেছে এর উপর। একটা যৌক্তিক বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে এতো লাল ফিতার দৌরাত্ম কেন?’

 ‘হ্যাঁ বা না বলে’ ফাইল ছেড়ে দিতে দেওয়া পোস্টের দুদিন পর সেই ফাইলে প্রধান উপদেষ্টা স্বাক্ষর করেছেন বলে ফিরতি পোস্ট দিয়ে জানান সারজিস আলম। 

বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) গত ৩০ জুন ৪৪তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ করে। এতে ১ হাজার ৭১০টি শূন্য পদে নিয়োগের জন্য ১ হাজার ৬৯০ জনকে সুপারিশ করা হয়। তবে তাদের মধ্যে ৩৭২ জন আগেই একই বা সমতুল্য ক্যাডারে নিয়োগপ্রাপ্ত ছিলেন (রিপিট ক্যাডার)। এই বিষয়টি নিয়ে সংবাদ প্রকাশ, সমালোচনা ও বিতর্কের পর পিএসসি বিধি সংশোধনের উদ্যোগ নেয়, যাতে রিপিট ক্যাডারের পরিবর্তে মেধাক্রম অনুযায়ী পরবর্তী প্রার্থীদের সুযোগ দেওয়া যায়।

কিন্তু বিধি সংশোধনের প্রশাসনিক জটিলতায় চার মাস পেরিয়ে গেলেও প্রক্রিয়ায় অগ্রগতি হয়নি। ফলে রিপিট ক্যাডার-সম্পর্কিত নয়, এমন ১ হাজার ৩১৮ জন প্রার্থীর নিয়োগও শুরু হয়নি। সাধারণত ফলাফল প্রকাশের পরপরই ফাইল জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়ে স্বাস্থ্য পরীক্ষা, ভেরিফিকেশনসহ পরবর্তী ধাপ শুরু হয়।

৪৪তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা হয়েছিল ২০২২ সালের ২৭ মে। প্রিলিমিনারিতে উত্তীর্ণ হন ১৫ হাজার ৭০৮ জন। লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন ১১ হাজার ৭৩২ জন। দীর্ঘ প্রক্রিয়া শেষে মৌখিক পরীক্ষার মাধ্যমে ১ হাজার ৬৯০ জনকে সুপারিশ করা হয়।

প্রার্থীদের অভিযোগ, রিপিট ক্যাডার-সংক্রান্ত বিধি সংশোধনে দেরি হওয়ায় নিয়োগ কার্যক্রম স্থবির হয়ে আছে। অনেকের বয়সসীমা শেষ হয়ে যাচ্ছে, কেউ মানসিক চাপে ভুগছেন।

এ সম্পর্কিত খবর

আরও পড়ুন