মিস নেভাডার সাহসী বার্তা, টাক মাথায় মঞ্চে
বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশ: ১৪:৩৩, ২৩ অক্টোবর ২০২৫

মিস ইউএসএ প্রতিযোগিতার মিস নেভাডা। ছবি: সংগৃহীত
মিস ইউএসএ প্রতিযোগিতার প্রিলিমিনারি রাউন্ডে দারুণ এক সাহসী মুহূর্তের জন্ম দিলেন মিস নেভাডা ইউএসএ মেরি সিকলার। বুধবার (২২ অক্টোবর) রেনো, নেভাডার মঞ্চে হাঁটার সময় তিনি নিজের উইগ খুলে ফেলেন—আর সবার সামনে প্রকাশ করেন তার অ্যালোপেশিয়া ইউনিভার্সালিস) রোগের বাস্তবতা।
২২ বছর বয়সী এই প্রতিযোগী রুপালি পাথরে জড়ানো এক ঝলমলে হেডপিস ও অলংকৃত লম্বা ট্রেন-যুক্ত পোশাকে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে হেঁটে যান মঞ্চে। পাশে দাঁড়িয়েছিলেন মিস নিউ হ্যাম্পশায়ার মোনা লেসা ব্র্যাকেট, যিনি হিজাব পরে অংশ নেন প্রতিযোগিতায়। দর্শক ও বিচারকরা দাঁড়িয়ে অভিবাদন জানান তার এই সাহসিকতাকে।
পিপল ম্যাগাজিনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সিকলার বলেন,“আমি সব চুল হারিয়েছি। ভাবিনি কোনোদিন চুল ছাড়াই মিস ইউএসএর মঞ্চে দাঁড়াব। কিন্তু আজ আমি এখানে আছি। নিজেকে সুন্দর বলে মনে করাটাই প্রথম ধাপ—যদি আপনি নিজেকে সুন্দর ভাবেন, অন্যরাও তেমনই দেখবে।”
গত বছরের ডিসেম্বর থেকে সিকলারের চুল ঝরতে শুরু করে, এরপর তার অ্যালোপেশিয়া ইউনিভার্সালিস ধরা পড়ে—যে রোগে মাথা, ভ্রু, পাপড়ি, শরীরের সব জায়গার চুল পড়ে যায়।
সিকলার সেই সময় লুইস ভুইতোঁর জন্য বড় এক ফটোশুট শেষ করেছিলেন। কিন্তু চুল পড়ে যাওয়ার পর তিনি ভাবেন, তার মডেলিং ক্যারিয়ার হয়তো শেষ।
তিনি বলেন,“আমি আয়নায় তাকিয়ে নিজেকে চিনতে পারছিলাম না—চুল নেই, চোখের পাপড়ি নেই, যেন অন্য কেউ।”
এরপর কিছুদিন বিরতি নিয়ে তিনি ফেরেন বিউটি পেজেন্ট জগতে। প্রথমে মিস টেক্সাস ইউএসএ-তে রানারআপ হন, পরে জুলাইয়ে মিস নেভাডা ইউএসএ শিরোপা জেতেন।
এরপরই তিনি প্রকাশ্যে জানান নিজের রোগের কথা—নেভাডা অঙ্গরাজ্যের ইতিহাসে প্রথম নারী, যিনি অ্যালোপেশিয়া নিয়ে জাতীয় পর্যায়ে প্রতিযোগিতা করছেন।
মেরি সিকলারের এই সাহসী পদক্ষেপ ইতিমধ্যেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। অনেকেই বলছেন, তিনি শুধু এক প্রতিযোগী নন—বরং আত্মবিশ্বাস ও স্বীকৃতির প্রতীক।
মিস ইউএসএ ২০২৫ ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে শুক্রবার, ২৪ অক্টোবর।