বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৫

| ৭ কার্তিক ১৪৩২

স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদের গুঞ্জন: ফেসবুকে উত্তর দিলেন পূর্ণিমা 

বিনোদন প্রতিবেদক 

প্রকাশ: ২০:১৭, ২২ অক্টোবর ২০২৫

স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদের গুঞ্জন: ফেসবুকে উত্তর দিলেন পূর্ণিমা 

চিত্রনায়িকা পূর্ণিমা ও তার স্বামী আশফাকুর রহমান রবিন। ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা পূর্ণিমা ও তার স্বামী আশফাকুর রহমান রবিনকে ঘিরে সম্প্রতি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে বিচ্ছেদের গুঞ্জন। তা হলে কি পূর্ণিমার সঙ্গে তার স্বামীর ছাড়াছাড়ি হচ্ছে, বা হবে- এমন প্রশ্ন ঘুরপাক থেকে থাকে পূর্ণিমাপ্রিয় ভক্তজন ও চলচ্চিত্র পাড়ায়। 

এই গুজবের শুরু তিন দিন আগে পূর্ণিমার একটি আবেগঘণ পোস্টকে ঘিরে। সেখানে পূর্ণিমা লিখেছিলেন- “মিথ্যা সম্পর্কের ভিড়ে নিজেকে হারিয়ে ফেলার চেয়ে নিঃসঙ্গতা অনেক বেশি শান্ত, নিরাপদ এবং মর্যাদাপূর্ণ।”
এরপর এ নিয়ে মুখ খোলেননি পূর্ণিমা বা তার স্বামী রবিন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বা কোথাও কিছুই শোনা যায়নি এই অভিনেত্রী দম্পতির ব্যাপারে।
তিন দিন পর বুধবার হঠাৎ করেই আবার আলোচনায় এলেন পূর্ণিমা। বিকেল পৌনে পাঁচটার দিকে নিজের ফেসবুক পেজে স্বামীর সঙ্গে একটি হাস্যোজ্জ্বল ছবি পোস্ট করলেন। ব্যস, আবার শুরু হলো নতুন আলোচনা। তা হলে কি স্বামীর সঙ্গে ছবি পোস্ট করে বিচ্ছেদের গুঞ্জন উড়িয়ে দিলেন এই নায়িকা!

ছবিটিতে দেখা যায়, একটি রেস্তোরাঁয় স্বামীর হাত ধরে হাস্যোজ্জ্বল মুখে বসে আছেন পূর্ণিমা। এই একটি ছবিই যেন স্পষ্ট করে দিয়েছে—গুজবটি একেবারেই ভিত্তিহীন। তারা এখনো সুখেই একসঙ্গে আছেন।

২০২২ সালে পূর্ণিমা বিয়ে করেন কর্পোরেট কর্মকর্তা আশফাকুর রহমান রবিনকে। রবিন পেশায় বহুজাতিক একটি প্রতিষ্ঠানের মার্কেটিং বিভাগের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা। তিনি অস্ট্রেলিয়ার সিডনির একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা সম্পন্ন করেছেন।

সম্প্রতি পূর্ণিমার এক ইঙ্গিতপূর্ণ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম পোস্ট থেকেই শুরু হয় বিচ্ছেদের জল্পনা। তিন দিন আগে সেই পোস্টে তিনি লেখেন—

”মানুষের ভিড়ে কিছু মুখ থাকে, যাদের আমরা আপন ভেবে হৃদয়ের দরজা খুলে দিই। কিন্তু সময়ের কঠিন পরীক্ষায় টের পাই—তারা আসলে সম্পর্কের আবরণে লুকিয়ে থাকা বিষধর সাপ।” 

পূর্ণিমা আরও লেখেন, “প্রয়োজনে তারা বন্ধুর মুখোশ পরে পাশে ঘোরে, আর সুযোগ পেলেই বিষ ঢেলে দেয় আমাদের স্বপ্নে, আমাদের জীবনে।

যখন মানুষ জীবনের সাফল্যের শিখরে আরোহন করে, তখন এরা মৌমাছির মতো চারপাশে গুনগুন করে ঘুরতে থাকে। 
প্রশংসার ফুলঝুরি ঝরিয়ে, সান্নিধ্যের ভান করে তারা আসলে নিজের স্বার্থের মধু সংগ্রহ করে। 
কিন্তু সময়ের চাকা যখন বিপরীতমুখী হয়, জীবন যখন সংগ্রামের অন্ধকারে ডুবে যায়— তখন তারাই সবার আগে দূরে সরে যায়। ঠিক যেমন মৌমাছি ফুল থেকে মধু নিঃশেষ হলে অন্য ফুলের কাছে উড়ে যায়—তেমনি তারাও সরে যায় স্বার্থের টানে।”

একদাম শেষবাক্যে পূর্ণিমা লেখেন- “তাই এদের থেকে দূরে থাকাই শ্রেয়, কারণ মিথ্যা সম্পর্কের ভিড়ে নিজেকে হারিয়ে ফেলার চেয়ে নিঃসঙ্গতা অনেক বেশি শান্ত, নিরাপদ এবং মর্যাদাপূর্ণ।”

এই লেখার পর থেকেই অনেকে ধরে নিয়েছিলেন, স্বামী রবিনের সঙ্গে তার সম্পর্ক ভেঙে গেছে। কিন্তু নতুন ছবির মাধ্যমে সব গুঞ্জনের জবাব দিয়েছেন অভিনেত্রী পূর্ণিমা।

কাজের সূত্রেই পূর্ণিমা ও রবিনের পরিচয়, তিন বছরের বন্ধুত্ব থেকে গড়ে ওঠে প্রেম, এবং শেষ পর্যন্ত পরিণতি পায় বিয়েতে।

এটি পূর্ণিমার দ্বিতীয় বিয়ে। এর আগে ২০০৭ সালের ৪ নভেম্বর আহমেদ জামাল ফাহাদকে বিয়ে করেছিলেন তিনি। সেই সংসারে জন্ম নেয় তার একমাত্র কন্যাসন্তান।

পূর্ণিমা বর্তমানে নাটক ও বিজ্ঞাপনচিত্রে নিয়মিত কাজ করছেন। সাম্প্রতিক একটি ওটিটি প্রকল্প নিয়েও আলোচনায় আছেন এই অভিনেত্রী।

আরও পড়ুন

শীর্ষ সংবাদ:

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকের পর জামায়াত নেতা তাহের, জুলাই সনদ বাস্তবায়ন না হলে পরিশ্রম পণ্ডশ্রম হবে
আইএলও’র তিনটি মৌলিক কনভেনশনে সই করল সরকার
সেন্টমার্টিন ভ্রমণে নতুন সরকারি নির্দেশনা
জুলাই সনদ বাস্তবায়নে নিশ্চয়তা না পেলে স্বাক্ষর নয় : নাহিদ ইসলাম
সোনার দাম কমল, এখন ভরি ২ লাখ ৮ হাজার ৯৯৬ টাকা
এনসিপি ও জামায়াত নেতাদের প্রধান উপদেষ্টা, আমাদের নিরপেক্ষতা নিয়ে নিশ্চিন্ত থাকতে পারেন
শেখ হাসিনার আইনজীবী, চৌধুরী মামুন অন্যের ঘাড়ে বন্দুক রেখে বাঁচার চেষ্টা করছেন
তত্ত্বাবধায়কের মুডে যেতে হবে অন্তর্বর্তী সরকারকে: আমীর খসরু
দূর্ঘটনার কবলে ভারতের প্রেসিডেন্ট মুর্মুর হেলিকপ্টার
শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত প্রিজন ভ্যানে মানবতাবিরোধী মামলায় ট্রাইবুনালে সেনা কর্মকর্তারা
বিবিসি ও ইবিইউর নতুন গবেষণা প্রকাশ সংবাদভিত্তিক প্রশ্নে অর্ধেক সময় ভুল তথ্য দেয় এআই মডেল
গুমের অভিযোগে শেখ হাসিনাসহ পলাতকদের হাজিরে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ
আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করুন
বিএনপি তত্ত্বাবধায়ক সরকার চায়নি নিরপেক্ষ অন্তর্বর্তী সরকারের ভূমিকাই দাবি