সালমান শাহ হত্যা মামলা
৪ নম্বর আসামি অভিনেতা ডন
বিনোদন প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৪:৪০, ২২ অক্টোবর ২০২৫ | আপডেট: ১৫:০৯, ২২ অক্টোবর ২০২৫

ছবি: সংগৃহীত
বাংলা চলচ্চিত্রের ইতিহাসে অন্যতম জনপ্রিয় নায়ক সালমান শাহের রহস্যজনক মৃত্যুর প্রায় তিন দশক পর অবশেষে নতুন মোড় নিল মামলাটি। আদালতের নির্দেশে অপমৃত্যু মামলা থেকে এটি এখন হত্যা মামলা হিসেবে গৃহীত হয়েছে — যা নিয়ে নতুন করে আলোড়ন ছড়িয়েছে চলচ্চিত্র অঙ্গনে।
সোমবার (২০ অক্টোবর) মধ্যরাতে রাজধানীর রমনা থানায় সালমান শাহের মামা আলমগীর কুমকুম নতুন করে মামলা দায়ের করেন। মামলায় সালমান শাহের স্ত্রী সামিরা হককে প্রধান আসামি করা হয়েছে।
অভিযুক্তদের তালিকায় রয়েছেন ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাই, লতিফা হক লুসি, এবং চলচ্চিত্রের খলনায়ক অভিনেতা ডন, যিনি মামলার ৪ নম্বর আসামি। মোট ১১ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে, পাশাপাশি অজ্ঞাত আরও কয়েকজনের নামও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
ঢাকার ষষ্ঠ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. জান্নাতুল ফেরদৌস ইবনে হক সালমান শাহের মৃত্যুর ঘটনায় করা পূর্বের অপমৃত্যু মামলাটির পুনঃতদন্তের নির্দেশ দেন এবং এটিকে হত্যা মামলা হিসেবে গ্রহণের আদেশ দেন। আদালতের এই নির্দেশের পরই আলমগীর কুমকুম দ্রুত রমনা থানায় মামলা দায়ের করেন।
আদালত রমনা মডেল থানা পুলিশকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন এবং আগামী ৭ ডিসেম্বরের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ রয়েছে।
বাদীপক্ষের আইনজীবী ও স্বজনরা জানিয়েছেন, তাঁরা দীর্ঘ ২৯ বছর ধরে সালমান শাহকে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি করে আসছেন। তবে পিবিআই (পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন) পূর্ববর্তী প্রতিবেদনে মৃত্যুটিকে আত্মহত্যা বলে মত দেয়, যা সালমানের পরিবার কখনও মেনে নেয়নি।
সালমান শাহের মামা আলমগীর কুমকুম বলেন—“সালমান শাহর বাবা একজন ম্যাজিস্ট্রেট ছিলেন। তিনি অনেক চেষ্টা করেছেন অপমৃত্যুকে হত্যা মামলায় রূপান্তর করতে। এখন এতদিন পর এটি হলো। ইনশাআল্লাহ, প্রমাণ হবে এটা হত্যা।”
১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর ঢাকার ইস্কাটনের বাসায় ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় সালমান শাহের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। মাত্র কয়েক বছরের ক্যারিয়ারে তিনি ‘বিক্ষোভ’, ‘অন্তরে অন্তরে’, ‘দিন যায় কথা থাকে’, ‘বুকের ভিতর আগুন’-এর মতো একের পর এক হিট ছবিতে অভিনয় করে হয়ে ওঠেন সময়ের সেরা নায়ক।
তার অকালমৃত্যু বাংলাদেশের চলচ্চিত্র ইতিহাসে এক গভীর শোকের অধ্যায় হিসেবে চিহ্নিত হয়ে আছে। এখন, প্রায় তিন দশক পর হত্যা মামলার তদন্তের মাধ্যমে রহস্যের জট অবশেষে খুলবে কি না, সেদিকেই তাকিয়ে আছে গোটা জাতি।